1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :

কুরআন সুন্নাহর আলোকে অমুসলিমদের সাথে মুসলিমদের আচরণ

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
মাওঃ মুহাঃ ফজলুর রহমানঃ আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছে মানবাধিকার ও ধর্মের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না। কবিরা গোনাহের বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় গোনাহ হলো—শিরক (আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করা)। সেই সঙ্গে বলেন, কোনও মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করাও কবিরা গোনাহ। এখানে ‘মুসলমান’ বলেননি; বরং মুসলিম কিংবা অমুসলিম। যে কাউকে হত্যা করা বড় গোনাহ। (বুখারি শরিফ)
পৃথিবীতে রাসুল (সা.)-এর আগমনেও ধর্ম-বর্ণের পার্থক্য করা হয়নি; আল্লাহ তায়ালা তাঁকে সমগ্র মানবজাতির জন্য রহমত ও করুণা হিসেবে পাঠিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে জগতসমূহের রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭) অর্থাৎ তিনি শুধু মুসলমানদের নবী হিসেবে প্রেরিত হননি। তিনি সারাটি জীবন সেভাবেই সবার কল্যাণের জন্য কাজ করে গেছেন এবং সবার প্রতি সমান ব্যথিত ছিলেন।একবার রাসুল (সা.)-এর সামনে দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এটি দেখে তিনি দাঁড়ালেন, তখন উপস্থিত সাহাবারা বললেন, এটি ইহুদির লাশ। রাসুল (সা.) তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, সে কী মানুষ নয়? (বুখারি, হাদিস: ১৩১২)
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি-ঘর থেকে বের করে দেয়নি, তাদের প্রতি সদয় ব্যবহার করতে এবং তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করছেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন। আল্লাহ শুধু তাদের সঙ্গেই বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন, যারা দ্বিনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি-ঘর থেকে বের করে দিয়েছে এবং তোমাদের বের করে দেওয়ার ব্যাপারে সহায়তা করেছে। আর যারা তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, তারাই তো জালিম।(সুরা : মুমতাহিনা, আয়াত : ৮,৯)
সুতরাং কুরআন সুন্নাহর আলোকে বোঝা যায় ঐতিহাসিকভাবেই ইসলাম অমুসলিমদের অধিকার সুনিশ্চিত করেছে। অন্যের উপাসনালয় ভেঙে ফেলার অনুমতি ইসলাম দেয়নি। মসজিদ, মন্দির বা গির্জায় হামলা করা ইসলামের দৃষ্টিতে নিন্দনীয়। ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রা.)-এর শাসনের আগে খ্রিস্টানদের একটি গির্জা ভেঙে মুসলমানরা মসজিদ বানিয়েছিল।ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রা.) খেলাফত গ্রহণের পর খ্রিস্টানরা এ অভিযোগ নিয়ে খলিফার দরবারে গেলে তৎক্ষণাৎ এক ফরমান পাঠিয়ে খ্রিস্টানদের গির্জা যেভাবে ছিল, ঠিক সেভাবে তৈরি করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর (রা.) হিরা নামের স্থানের সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিরাপত্তাসংক্রান্ত যে চুক্তি করেছিলেন, তাতে উল্লেখ রয়েছে, ‘তাদের গির্জা তথা ধর্মীয় উপাসনালয় ধ্বংস করা যাবে না এবং তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া যাবে না। ঘণ্টা বাজানো থেকে তাদের নিষেধ করা যাবে না। ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের সময় ধর্মীয় প্রতীক ক্রুশ বের করাতে বাধা দেওয়া যাবে না। ’ (ফাতাওয়া হক্কানিয়া  : ৫/৪৮৫)
ওমর (রা.) বায়তুল মুকাদ্দাসের খ্রিস্টানদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
তাতে উল্লেখ ছিল, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। এটি একটি নিরাপত্তাসংক্রান্ত চুক্তিনামা, যা মুসলমানদের আমির, আল্লাহর বান্দা ওমরের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরিত হলো, এ চুক্তিনামা ইলিয়াবাসী তথা জেরুজালেমে বসবাসরত খ্রিস্টানদের জানমাল, গির্জা-ক্রুশ, সুস্থ-অসুস্থ তথা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রযোজ্য। সুতরাং চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তাদের উপাসনালয়ে অন্য কেউ অবস্থান করতে পারবে না। তাদের গির্জা ধ্বংস করা যাবে না। কোনো ধরনের ক্ষতিসাধন করা যাবে না। তাদের নিয়ন্ত্রিত কোনো বস্তু, তাদের ধর্মীয় প্রতীক ক্রুশ ও তাদের সম্পদের কোনো ধরনের ক্ষতিসাধন বা হামলা করা যাবে না। ’ (তারিখুর রাসুল ওয়াল মুলুক, তারিখে তাবারি, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৪৯) আল্লাহ তায়ালা সকলকে বোঝার তাওফীক দান করুন,আমীন। সহকারী প্রধান শিক্ষক পশ্চিম বানিয়াখামার দারুল কুরআন বহুমুখী মাদ্রাসা,খতীব, বায়তুল আমান জামে মসজিদ,চকমাথুরাবাদ,পিপড়ামারী, হরিণটানা, খুলনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট