দশমিনা(পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদরের কাঁটাখালী গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবক মো. ইমরান বাঁধাকপি চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে। এই কৃষি উদ্যোক্তা গ্রামে বাঁধাকপি চাষ করেই খ্যান্ত হয়নি। তার কৃষি খামারে নানা জাতের শাকসবজি চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে সবুজ বিপ্লব যটিয়েছে। প্রায় ২ একর জমিতে বাঁধাকপি চাষ শুর করে। অত্র অঞ্চলে বাঁধাকপি তেমন চাষ কিংবা ফলন ভাল হয় না। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পরামর্শে ইমরান বাঁধাকপি চাষ করতে উদ্বুদ্ধ হয়। তরুন উদ্যোক্তার খামারে সারি সারি বাঁধাকপি শোভা পাচ্ছে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছে। ফসলি জমিতে বাঁধাকপির ফলন দেখে এলাকার কৃষকরাসহ ইমরান রীতিমত আনন্দে আত্নহারা হয়ে গেছে।
উপজেলা সদরের কাঁটাখালী গ্রামের শিক্ষিত যুবক ইমরান কৃষি কাজের উপর আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় কৃষি খামার করার চিন্তা মাথায় আসে। আবাদি ও অনাবাদি জমিতে শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসলের চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের এসএসিপি-রেইনস প্রকল্পের আওতায় তিনি বাঁধাকপি চাষ করতে শুরু করেন। বাঁধাকপি চাষ করতে তেমন জমির প্রয়োজন হয় না। স্বল্প জমিতে উন্নত জাতের বাঁধাকপির চারা রোপন করার পর আগাছা পরিস্কার করলেই হয়। এতে তেমন খরচ হয় না। কৃষি বিভাগের পরামর্শে সে বাঁধাকপির চাষ করেছে। চলতি বছর বাঁধাকপির ব্যাপক ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানায়,চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপির চাষ করা হয়। বিগত বছরের তুলনায় এই বছর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রান্তিক কৃষকরা বাঁধাকপির চাষ করেছে। স্থানীয় চাহিদা মিটাতে কৃষকরা এবার অধিক পরিমান জমিতে বাঁধাকপির চাষ করেছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকা ও দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা খুশি হয়েছে।