
এ এইচ অনিক, বিশেষ প্রতিনিধি : দেখতে দেখতে শীত শেষ হত না-হতেই, বসন্তের বার্তা নিয়ে এলো দেশি প্রজাতির সব আমগাছ, হলুদ লাল সাদা মুকুলে সেজেছে প্রতিটি আমের গাছ।
দেখলে মনে হবে এ-যেনো সারি সারি বিভিন্ন ফুলের বাগান। শহর বন্দর,গ্রাম গঞ্জের প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনা সহ ঝোপঝাড় পুকুর পাড়, সবখানেই দেশিয় জাতের সব আমগাছ গুলোতে নুতান মুকুল এসেছে। যদি আপনার বাড়ির আঙ্গিনায় আমগাছ থাকো তো! আমার কথাগুলো আপনি মিলিয়ে দেখবেন আমার সাথে আপনার অনুভুতির কতটা মিল। আপনি লক্ষ করবেন ছোট্ট বড়ো এ-সব ফুল বা মুকুল থেকে মধু সংগ্রহ করছে, নানা প্রজাতির মাছি, মৌ-মাছি প্রজাপতি সহ মধু সংগ্রহ কারী সব ধরনের পোকা মাকড়। এ-সব দেখার পরে অবশ্যই আপনার প্রান জুড়িয়ে যাবে। আমি
বলছিলাম আমার অনুভূতির কথা। এদিকে দেশি অথবা বিদেশি আমের গাছ, বা আমকে আমরা বুঝি এ-ভাবে। যেমন আমাদের দেশে প্রাচীন কাল থেকে যে সকল আম ও আমের গাছ দেখে এসেছি, যেমন টক মিষ্টি, বড়ো ছোটো এ-রকম অনেক প্রকার আম, পরবর্তীতে বহু বছর ধরে বিদেশি জাতের আম ও আমের কলমের মাধ্যমে কৃত্রিম উপায়ে উত্তর বঙ্গের কয়েকটি জেলা যেমন রাজশাহী চাপাই নবাবগঞ্জ রংপুর সহ বহু জেলায় ছড়িয়ে পড়ে বিদেশি কলামের এ-সব আমের চাষাবাদ। এ-সব আমের নাম হলো মালঠা, ফজলি, গোপাল ভোগ, আম রুপালি, আশ্বিনি, ব্যাল খোশ, রাধাভোগ আম শিদুর সহ শতো প্রজাতির আম রয়েছে এখানে। আর এসব আমের গাছে মুকুলও আসবে আরো কিছুদিন পড়ে। এমনটা জানিয়েছেন এলাকার অনেক আমচাষী গন। আমার দেখা দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই কম বেশি দেশি বিদেশি ছোটো বড়ো আম গাছের বাগান রয়েছে। সেখানে গেলেই আপনাদের চোখে পড়বে এ-ধরনের নানা প্রজাতির আমের গাছ। লক্ষ্য করবেন গত দু-তিন বছর ধরে হাট বাজার গুলোতে দেখা মিলেছে লম্বা টাইপের এক ধরনের নুতন জাতের আম। এমন আরো বহু প্রজাতির আমের দেখা হয়তো আগামীতে পাওয়ার আশা রাখছি।