1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৫:১২ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

সামেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক চিকিৎসকের গাফিলতি: তদন্ত কমিটি গঠন

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : পায়ের ভাঙাহাড়ে বসানো প্লেট খুলে ফেলার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অর্থপেডিক বিভাগের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।

এঘটনায় হয়রানির স্বীকার রোগির স্ত্রী সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বরারব অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগের বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালকের নির্দেশে এক সপ্তাহ পর ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রোববার রাতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিস সহকারী আব্দুস সাত্তার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গঠিত তদন্ত টিমের প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে অর্থপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. চিত্ত রঞ্জন রায়, তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. অজয় কুমার সাহা ও তদন্ত কমিটির সদস্য গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. কানিজ ফাতিমা।

নির্দেশনা প্রাপ্তির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সার্বিক ঘটনা ক্ষতিয়ে দেখে পরিচালক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

অভিযোগকারি সাতক্ষীরা পৌর এলাকার মেহেদীবাগের বাসিন্দা আছমা খাতুন জানিয়েছেন, তার অসুস্থ্য স্বামী মাসুম হোসেনকে নিয়ে ও তার শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম বাবু গত ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ইতোপূর্বে ভেঙে যাওয়া ডান পায়ের থাই সংলগ্ন বসানো প্লেট বের করার জন্য। ওইদিন ভর্তি হন মেডিকেলে। ৩ দিন পর তাকে অর্থপেডিক বিভাগের ১৭ নং বেড দেওয়া হয়। এরপর অপরেশন নিয়ে শুরু হয় টালবাহানা। এক পর্যায়ে পরিচালককে জানানোর পর তিনিই ২৫ জানুয়ারী অপরেশনের দিন নির্ধারণ করেন।

আছমা খাতুন তার লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ওইদিন সকালে তার স্বামীর পায়ের প্লেট বের করার জন্য ওটির আগের রুমে নিয়ে রাখা হয়। সেখানে সকাল থেকে অর্থপেডিক বিভাগের রোগির অপরেশন চলছিল। শুরু থেকেই পর্যায়ক্রমে ৪ জন রোগির অপরেশন হয়। তখন সেখানে ৫জন অর্থপেডিক ডাক্তার ছিলেন। এরপর ৪জন ডাক্তার ওটি থেকে বের হয়ে যান। অবশেষে ডাক্তার ভবতোষ কুমার মন্ডল (বি কে মন্ডল) তার স্বামীর অপরেশন শুরু করেন। পা ওপেন করেই প্লেটের দুইটা স্ক্রুপ খুলে আর খোলা যাচ্ছেনা বলে ওই স্ক্রুপ দুটি লাগিয়ে দিয়ে সেলাই করে দেন এবং তাদেরকে জানান ওই প্লেট থাকলে কোন সমস্যা হবেনা।

বিষয়টি শুনে চরম হতাশ হয়ে পরদিন সকালে পরিচালককে জানালে তিনি নিজেই তাদেরকে জানান, স্ক্রুপের মাথা সমান হয়ে যাওয়ায় স্ক্রুপ খোলা যাইনি। ২৬ জানুয়ারী সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষের কাছে ছাড়পত্র চাইলে তারা দিতে রাজি হননি। একপর্যায়ে রোগি নিয়ে মেডিকেল ছেড়ে বেরিয়ে এসে শহরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাই। সেখানে যাওয়া মাত্রই তাৎক্ষণিক আমার স্বামীর অপরেশন করে প্লেট বের করে বেডে দেন। বের করা প্লেট ও স্ক্রুপ দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে তার মাথা ক্ষয়ে যাইনি। একেবারেই নতুন। সেখানে ৩দিন চিকিৎসা নিয়ে আমরা বাড়িতে চলে আসি। এখন প্রায় সুস্থ্য আমার স্বামী।

অভিযোগকারি বলেন, স্বামীর চিকিৎসা নিতে গিয়ে যে প্রতারণা ও হয়রানি হয়েছি এর সাথে যেসমস্ত চিকিৎসক ও সেবিকারা জড়িত তদন্তে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, দু একটি ঘটনার সুষ্ট তদন্ত হলে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কতিপয় চিকিৎসকদের অপচিকিৎসা ও আর্থিক ক্ষতি থেকে জেলাবাসী মুক্তি পেত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট