দশমিনা(পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ফসলি জমিসহ চরাঞ্চলে চলতি মৌসুমে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠে হলুদ ফুলে সকলের মন জুড়িয়ে এখন ফুল থেকে ফল বের হয়ে আসছে। সরিষার প্রত্যেকটি গাছে ফলের দানা দেখে কৃষকরা বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে উপজেলায় সরিষার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর আশা করছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, এই বছর অত্র উপজেলায় ১হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ করা হয়। গত বছর থেকে ৩শত হেক্টর বেশী জমিতে সরিষার চাষ করা হয়। উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদেরকে সরিষা বারি-১৪ বীজ,সার,কিটনাশক দিয়ে সহায়তা করে ছিল। প্রতি বছর তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা সরিষার আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা অধিক পরিমান জমিতে সরিষার আবাদ করেছে। তৈলবীজ হিসাবে সরিষা চাষ করেই অনেক কৃষক বাড়তি লাভের স্বপ্ন দেখছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সরিষা চাষে কৃষকদেরকে চাষাবাদে উৎসাহ করতে বিভিন্ন প্রনোদনা দিয়েছে। কৃষকদেরকে বিনামূল্যে সরিষার বীজসহ অন্যান্য কৃষিপন্য দিয়ে ছিল। উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন,সরকারীভাবে বীজ ও সার পেয়েছি। উপজেলা কৃষি বিভাগ সর্বদা সার্বিক পরামর্শ প্রদান করায় সরিষার চাষ ভালভাবে করতে পারছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারে চাহিদা বাড়লে ভাল দাম পাওয়া যাবে বলে কৃষকরা মনে করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.জাফর আহমেদ দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান, দেশে তৈলবীজের চাহিদার কথা বিবেচনা করেই এই বছর উপজেলায় অধিক পরিমান জমিতে সরিষার চাষ করা হয়। দশমিনা উপজেলাকে কৃষি বান্ধব উপজেলা হিসাবে পরিচিত করতে কৃষক পর্যায়ে দপ্তরের সকল কর্মকর্তারা নিরলস ভাবে কাজ করছে। চলতি মৌসুমে সরিষার লক্ষ্যমাত্রার চাইতে অধিক পরিমান জমিতে সরিষা আবাদ করায় বাম্পার ফলন হবে। জমিতে সরিষার ফলন দেখে কৃষকরা বেশ খুশি হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে,তাই সরিষার উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।