ডেস্ক নিউজ : উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা। হয়নি কোনো ক্লাস-পরীক্ষা। দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা তালা ঝুলিয়ে দেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবারের হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিকে দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে হামলা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রদল। তাদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে তাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান মো. ইয়াহিয়া বলেন, ছাত্রদল কারও ওপর হামলা করেনি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সকাল থেকেই অনেক শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করতে শুরু করেছে। ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে যারা ভাড়া রয়েছেন তাদের ভিতর ভয় এবং আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা রয়েছেন উদ্বিগ্ন।
এদিকে দুপুরে কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে। হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরিফুল আলম।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (নর্থ) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়নি এখনও। ক্যাম্পাসের গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে মঙ্গলবার ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহতদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।