সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বিগত আ.লীগ সরকারের সময়ে শ্যামনগর সষপর অবস্থিত রিডা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মোশারফ হোসেন। তবে ক্ষমতার পালাবদলের প্রেক্ষাপটে এবার পরিবর্তন এসেছে বার বার রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠা উক্ত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদ।
জানা গেছে নুতন করে বেসরকারি ঐ হাসপাতালের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন বিএনপি নেতা এডভোকেট মাসুদুল আলম দোহা। উপজেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক দোহা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে। কতৃপক্ষের দাবি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সুবিধার্থে শেয়ার হোল্ডারদের সিদ্ধান্তে তারা নুতন চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছেন।
এখানে রাজনৈতিক কোন বিষয় নেই বলেও দাবি তাদের। তবে বিষয়টি নিয়ে নানামুখী আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাদ পড়া আ.লীগ নেতা মোশারফ হোসেন। তার দাবি বিভিন্ন ধরনের বিড়ম্বনা সামলানোসহ পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ নিতেই তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ। শেয়ার হোল্ডারদের সভায় তাকে উপস্থিত হওয়ার নোটিশ পর্যন্ত দেয়া হয়নি বলেও তার অভিযোগ।
জানা যায় গত ২২ ফেব্রুয়ারী শ্যামনগরের সুন্দরবন পাড়ের আকাশলীনায় বনভোজনের আয়োজন করে রিডো প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক কতৃপক্ষ। একপর্যায়ে খাওয়ার পর্ব শেষে সম্মিলিত ঘোষণায় তারা পরবর্তী মেয়াদের জন্য বিএনপি নেতা মাসুদুল আলমকে চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনীত করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ এতদিন আ.লীগ ক্ষমতায় থাকার সময়ে মোশরাফ হোসেনকে চেয়ারম্যান পদে রাখা হয়েছিল পরিস্থিতি সামলানোর জন্য। এবার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার দরুন তাদের নেতা দোহাকে চেয়ারম্যান পদে আসীন করা হয়েছে একই লক্ষ্যে।
তবে এসব বিষয়ে রিডা প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ জানান ২০২১ সাল থেকে মোশারফ হোসেন চেয়রম্যান পদে ছিলেন। শেয়ার হোল্ডাররা ভাল মনে করায় মোশারফ সাহেবকে বাদ দিয়ে বিএনপি নেতা দোহাকে নুতন চেয়ারম্যান মনোনীত করেছেন। এখানে রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য নেই।
মোশরাফ হোসেন জানান আমাকে তারা এভাবে বাদ দিতে পারে না। সেখানে আব্দুল্লাহর ইচ্ছা শেষ কথা। নিয়মনীতির বালাই নেই- জানিয়ে তিনি আরও বলেন আমাকে কেউ কিছু অবহিত না করেই নুতন চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছে। প্রতিষ্ঠানের মোট ৭০/৭৫ জন শেয়ার হোল্ডার থাকলেও আব্দুল্লাহ একক সিদ্ধান্তে অবস্থার সুযোগ নিতে এসব করেছে।
নুতন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া মাসুদুল আলম দোহা জানান প্রায় চার বছরের বেশী সময় ধরে তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। সেখানে রাজনৈতিক কোন বিষয় নেই উল্লেখ করে তিনি আরও জানান সবার সিদ্ধান্তের তাকে চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক রেজুলেশন এখনো সম্পন্ন হয়নি-জানিয়ে তিনি জানান প্রতিবছর বার্ষিক সভায় নুতন চেয়ারম্যান নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তবে যাবতীয় বিষয়ে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ভাল ব্যাখ্যা দিতে পারবে বলেও তিনি জানান।