কয়রা প্রতিনিধি : পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে খুলনার কয়রা উপজেলায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বাজারের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। গতকাল সকালে কয়রা বাজারে এই মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুলী বিশ্বাস।মনিটরিং কার্যক্রমের সময় বাজারের দোকানপাট, নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের গুনগতমান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ওজনে কারচুপি এবং প্রধান সড়কে দোকানদারদের মালামাল রাখার বিষয়গুলো যাচাই করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেন, রমজান মাসে কোনো ব্যবসায়ী যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না বাড়ায়, তা কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে। কেউ যদি এই নির্দেশ অমান্য করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মনিটরিং কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন কয়রা থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শাহ আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মামুনার রশিদ, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মিজানুর রহমান, কয়রা বাজার কমিটির সভাপতি সরদার জুলফিকার আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আছাদুল ইসলাম।
বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রমজান মাসে ক্রেতাদের সুবিধার জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। তারা ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান, রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে এবং ন্যায্যমূল্য বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনা করুন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, রমজানের সময় অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হলে বা মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করা হলে তা বরদাশত করা হবে না। ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পায়, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ করবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজারে পচা-বাসি খাবার বিক্রি, ওজনে কম দেওয়া বা রাস্তার ওপর মালামাল রেখে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো যাবে না। ব্যবসায়ীদের এসব বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, যদি কেউ নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাজার মনিটরিং কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় ক্রেতারা। তারা বলেন, “রমজানে অনেক সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে দাম বাড়িয়ে দেয়। প্রশাসনের এই নজরদারি থাকলে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারবে।”
এদিকে, উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, রমজান মাসজুড়ে এই বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।