কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে ইদানিং চুরি ডাকাতি ছিনতাই চাঁদাবাজি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন গ্রাম -শহর এবং বিভিন্ন সড়কে  চুরি ডাকাতি ছিনতাই ও চাঁদাবাজির খবর পাওয়া যাচ্ছে।

 কালীগঞ্জের ৯নং বারবাজার ইউনিয়নের মাঝদিয়া গ্রামে গ্রামবাসীদের পাহারা চলাকালীন সময়ের মধ্যেও সোমবার রাত ২টার সময় অজিত মোল্লার বাড়িতে ৪ জন কালো মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত দল গৃহকর্মীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে । উল্লেখ্য এক মাস আগে মাজদিয়া গ্রামবাসী ৩ জন ডাকাতকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে তাদের পুলিশে দেয়। তাদের বাড়ি যশোর এলাকায় ।

গত রবিবার দিনে দুপুরে কমলাপুর গ্রামের রইজু উদ্দিন এর বাড়ির তালা ভেঙে নগদ ১ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার নিয়ে নির্বিঘ্নে চোরেরা পালিয়ে যায়। শহরে ব্যাপক হারে মোটরসাইকেল,ইজি বাইক আলম সাধু ও ট্রাক চুরি হচ্ছে। রাতে বিভিন্ন সড়কে চুরি ছিনতাই বেড়ে গেছে। মানুষ চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছে । তাছাড়া চাঁদাবাজি থামতেই না। বারফা গ্রামের আফসার বিশ্বাসের জামাই চাপালি গ্রামের আব্দুল মতলেব ও ছেলে সুমন জানিয়েছে তাদের পিতা আফসার আলী বিশ্বাস জামাতের সমর্থক কিন্তু আওয়ামী লীগের রং লাগিয়ে এবং রাস্তা করবে এই অজুহাতে জমি ও টাকার দাবি করেন এই দাবি পূরণ না করায় বারফা গ্রামের কয়েকজন চিহ্নিত চাঁদাবাজরা তার বাড়ি ঘর ভাঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে এবং জমির ফসল কেটে নিচ্ছে । আফসার বিশ্বাস   আইনের আশ্রয় নিয়েও পুলিশের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। তাদের অসুস্থ বৃদ্ধ পিতা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

আইন শৃঙ্খলা অবনতির ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে জানান পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। তিনি নিজেও প্রতি রাতে বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছেন। নানা কারণে ইদানিং চোর ডাকাত ও  ছিনতাইকারীদের তৎপরতা কিছুটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছেন।