মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোল্লাহাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কামার গ্রামে সোমবার সন্ধ্যা হতে রাত ১১ টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগকারী কামারগ্রামের শেখ ফাহিম আহমেদ কামরান বলেন, আমার ভাতিজা মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র মোঃ আরাফাত শেখ (১৩) মসজিদ থেকে মাগরিব নামাজের পর বের হলে তাকে বাগানের মধ্যে নিয়ে বদনাম প্রকাশের মিথ্যা অভিযোগে চড়থাপ্পড় মারে একই গ্রামের দুই যুবক মেহেদী (১৮) ও জিসান (২০)। বিষয়টি জানতে পেরে রাত ৯টার দিকে দুই যুবককে আমার বাড়িতে ডেকে এনে মিমাংসার চেষ্টা করি। এমন সময় ওই দুই যুবকের মামা বদরুল আলম এসে বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। তখন ধস্তাধস্তির পর আমি পালিয়ে যাই। এরপর রাত ১১টার দিকে বদরুল আলম সহ ৯/১০ জনে দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে আমার বসত ঘরে হামলা চালিয়ে যাবতীয় আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এছাড়া নগদ প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। এতে আমার অন্ততঃ দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওই ঘটনার যথাযথ বিচার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
বদরুল আলম বলেন, ওই ছেলেকে চড়থাপ্পড় মারার বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক আমার ভাগ্নেদের শাসন করেছি। এছাড়া বিচার দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করি। অপরদিকে কামরান আমার ভাগ্নেদের খুঁজে কলার ধরে টেনে তাদের বাড়িতে নিয়ে মারপিট করে। ওই সময় সেখানে গেলে বাঁশের লাঠি দিয়ে কামরান আমাকে আঘাত করে। তখন ওই লাঠি কেড়ে নিয়ে আমিও আঘাত করি। এরপর রাত ১১টার দিকে আবারো উভয় পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে ঘরের বেড়ায় বাড়ি মারলেও লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো।
থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের উত্তেজনার খবরে ওই রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।