কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনে কাঙ্ক্ষিত পানি না পাওয়ার অভিযোগ তুলছে উপকারভোগীরা
উপকারভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কারসাজি এবং উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাফলতিতে নিম্নমানের মোটর ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহারের কারণ, প্রয়োজনীয় পরিমাণ নলকূপ খনন এবং পানি পরীক্ষা না করায় এমনটি ঘটছে। আর এসব দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জেসমিন আরা সবকিছু জেনেও নিশ্চুপ । সমগ্রদেশ নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পে আলতায় ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে ১৩২ টি সাবমারসিবল যুক্ত গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলায়। এখানে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে সাবমারসিবল স্থাপনের কাজ শুরু হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক জানান সরকারের ভর্তুকি দেওয়া একটি সাবমারসিবল পাম্প তার বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে পানি ফোর্স কম থাকে। তাছাড়া পানিতে প্রচুর পরিমাণ আইরন ও গন্ধ যা ব্যাপারে অযোগ্য। তাছাড়া পানির ট্যাপ ও পাইপ ট্যাংকি খুবই নিম্নমানের যা সহজেই ভেঙে যাচ্ছে। পাম্প স্থাপনকারী মিস্ত্রীরা আমাকে বলেছে ঠিকাদার যে মোটর সহ মালামাল দেয় সেইগুলি তারা নলকূপের কাজে ব্যবহার করে। মোটর বিশেষ ভাবে তৈরি করে সেগুলো খরচ কমানোর জন্য ব্যবহার করে থাকেন । সেরকম কিছু ঘটলো কিনা আল্লাহই ভাল জানেন।
কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৩২ টি সাবমারসিবল যুক্ত গভীর নলকূপ স্থাপনে কাজ করছে সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী একটি প্রতিষ্ঠান । ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তাদের ব্যবস্থাপক সুমন হোসেন জানান,এই মোটরের পানির ফোর্স এমনই হবে। কারোর কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের জানান, আমরা সেটি সমাধানের চেষ্টা করব। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সহকারী প্রকৌশলী জেসমিন আরা বলেন, শুষ্ক মৌসুমে পানির লেয়ার নেমে যাওয়ায় এমনটি হতে পারে। দেখবেন এই কলেই বর্ষা মৌসুমে প্রচুর পানি ওঠবে।পাম্প স্থাপনে পাউডারের পরিবর্তে গোবরের ব্যাবহার এবং ব্যবহারিত মোটরের মান ঠিক আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী আকমল হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, কি সমস্যা হচ্ছে সেটি দেখার জন্য আমি এখনই বলে দিচ্ছি। প্রয়োজনে সবগুলো পাম্পের মোটর পরিবর্তন করে দিতে বলব। ইতিমধ্যে যেগুলো লাগানো হয়েছে সেগুলো ঠিক না করে দেওয়া পর্যন্ত পরবর্তী সব কাজ বন্ধ থাকবে বলেও তিনি যোগ করেন। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন,নতুন স্থাপিত সাবমারসিবল পাম্পে পানি কম উঠার ব্যাপারে আমি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারকে ডেকে জেনে দেখি। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হলে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।