শরণখোলা অফিসঃ শরণখোলায় শুক্রবার দুপুরে দাদীকে মারধর করে তার কাছ থেকে শিশু সন্তানকে ছিনিয়ে উধাও হয়েছে শিশুর মা শাহনাজ বেগম। এমন অভিযোগ করেছেন শিশুর দাদী বেবী বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার ফেরিঘাটে।
শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ সোনাতলা গ্রামের মোঃ ইসমাইল ফরাজীর স্ত্রী বেবী বেগম, শুক্রবার দুপুরে শরণখোলা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তার পুত্র সেন্টু ফরাজী ৫ বছর পূর্বে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সারদাগঞ্জের জাকির হোসেনের কন্যা শাহনাজ বেগমকে বিবাহ করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত এক বছর যাবৎ আমার পুত্রের সাথে তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমের বনিবনা না হওয়ায় শাহনাজ বেগম শিশু পুত্রকে বাড়ীতে ফেলে রেখে গাজীপুর তার পিত্রালয়ে চলে যায়। শিশুর পিতা সেন্টু ফরাজী কর্মসূত্রে খুলনায় থাকে। এক বছর যাবৎ শিশুটিকে তিনি (দাদী) লালন পালন করে আসছেন। শুক্রবার সকালে শিশু নাতিকে সাথে নিয়ে মঠবাড়ীয়ায় তার কন্যার বাড়ী যাওয়ার পথে রায়েন্দা ফেরিঘাটে অবস্থান করছিলেন এ সময় আকষ্মিকভাবে একটি গাড়ীতে করে এসে তার পুত্রবধু শাহনাজ বেগম. শাহনাজ বেগমের মাতা ফৌজিয়া বেগম ও বোন জান্নাতিসহ তাদের আরো ৩/৪জন পুরুষ সঙ্গী তার উপর হামলা করে মারধর করে ফিল্মী ষ্টাইলে শিশুটিকে দাদীর কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গাড়ীতে করে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। মারধরের সময় তার গলার স্বর্ণের চেইন ও সাথে থাকা লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে বেবী বেগম অভিযোগে বলেন। শিশুর পিতা সেন্টু ফরাজী মোবাইল ফোনে বলেন, তার স্ত্রী পর পুরুষে আসক্ত। সে বেপরোয়া চলাফেরা করে। তার বোনকে দেওয়ার জন্য জন্য এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে শুক্রবার সকালে মাকে মঠবাড়ীয়া পাঠিয়েছিলাম। পথিমধ্যে রায়েন্দা ফেরিঘাটে তার স্ত্রী লোকজন নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় তার মায়ের উপর হামলা করে টাকা সহ তার শিশুপুত্রকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। এ বিষয়ে শরণখোলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে বেবী বেগম জানিয়েছেন।