1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৭:২০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

সুন্দরবনে মুক্তিপণ দিয়েও বাড়ি ফিরতে পারেনি দুই জেলে

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫

শ্যামনগর প্রতিনিধি ‌ : দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ সত্ত্বেও সুন্দরবনের জলদস্যুদের হাতে অপহরণের শিকার দুই জেলে এখনও বাড়িতে ফেরেনি। মফিজুর রহমান(৪৫) ও আব্দুর রহিম(২৮) নামের ঔ দুই জেলেকে গত সপ্তাহে সুন্দরবনের ফিরিঙ্গি ও ডিঙিমারী এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। তারা শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামের মৃত নেছার শেখ ও আশরাফ আলী গাজীরে ছলে।এদিকে মুক্তিপণ পরিশোধের পর চারদিন অতিবাহিত হলেও অপহৃতরা স্বজনদের কাছে না ফেরায় উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে তাদের পরিবার। তবে আগুনজ্বালা নামীয় এলাকা হতে একই বাহিনীর হাতে অপহরণের শিকার রবিউল ইসলাম তিনদিন পর রোববার বাড়িতে ফিরেছে।জলদস্যুদের হাতে জিম্মি দুই জেলের স্বজনসহ তাদের সহযোগী জেলেরা জানায় গত সপ্তাহে মাছ শিকারে যাওয়ার পর দুলাভাই বাহিনীর পরিচয়ে একদল জলদস্যু মফিজুর ও আব্দুর রহিমকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে উভয়ের মুক্তিপণ বাবদ ৩৫ ও ৪০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। একপর্যায়ে চারদিন পুর্বে জলদস্যুদের দাবিকৃত টাকা বিকাশে পরিশোধের পরও জিম্মি দুই জেলেকে ছাড়া হয়নি।ফিরে আসা জেলেরা জানায় নয় সদস্যের জলদস্যু দলটি নিজেদের দুলাভাই বাহিনী হিসেবে দাবি করে। তবে ইতোপূর্বে গাজী বাহিনী পরিচয়দানকারী জলদস্যুদের আটজনকে নুতন পরিচয়ে দেখা গেছে। এসব জেলেদের দাবি দলনেতা পরিবর্তন করে একই দল নুতন বাহিনীর পরিচয়ে দস্যুতা করছে। কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর এলাকার আবজাল ও তার শ্যালক একই উপজেলার রবিউল এই বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছে। এসব দস্যুরা বিগত ২০১৮ সালে র‌্যাবের হাতে অস্ত্র সমপর্ণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেও আবারও তারা সুন্দরবনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। উক্ত বাহিনীর নয় সদস্যের প্রত্যেকে একটি করে অস্ত্র বহন করছে বলেও অপহৃত জেলেদের ফিরে আসা এসব সহযোগী নিশ্চিত করেছেন।এসব বিষয়ে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক মশিউর রহমান জানান, অপহরণের মিকার জেলেদের স্বজনরা এসব বিষয় তাদের কাছ গোপন করে। বরং কাউকে কিছু না জানিয়ে জলদস্যুদের সাথে আপোষ করে টাকার বিনিময়ে স্বজনদের ফিরে পাওয়ার চেষ্টা চালায়।শ্যামনগর থানার অপিষার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর মোল্যা জানান অপরাপর বাহিনীর সহায়তা ছাড়া সুন্দরবনের ভিতরে অভিযান চালানো দুরূহ ব্যাপার। অপহরণের শিকার জেলেদের স্বজনরা তাদের কাছে কোন ধরনের অভিযোগ করেনি। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে তারা গোপন সমঝোতায় স্বজনদের মুক্তির চেষ্টা চলায় বলেও তিনি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট