প্রত্যেক নেক আমলের বিভিন্ন ফজিলত ও সওয়াব রয়েছে, যা দ্বারা মহান রাব্বুল আলামীন আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার বিষয়টি একেবারেই স্বতন্ত্র। কারণ রোজার বহুবিধ প্রতিদান ছাড়াও এ বিষয়ে একটি অতুলনীয় ঘোষণা রয়েছে।
রসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মানুষের প্রত্যেকটি আমল বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। একটি নেকি (সওয়াব) ১০ গুণ থেকে (ক্ষেত্র বিশেষে) ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, কিন্তু রোজার ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ রোজা আমার জন্য। সুতরাং তার প্রতিদান আমি নিজেই প্রদান করব। (মুসলিম : ১১৫১/১৬৪, বুখারি : ১৮৯৪)
এ হাদিসে দুটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য
১. রোজা ছাড়া অন্যান্য সব আমলের সওয়াব বৃদ্ধির ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। তা হলো ১০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত। এটি সাধারণ নিয়ম। আল্লাহ তাআলা চাইলে বিশেষ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশিও প্রদান করতে পারেন। তবে সাধারণত সব আমলের সওয়াব এ নীতির মাধ্যমেই নির্ণিত হয়।
কিন্তু রোজার বিষয়টি স্বতন্ত্র। কারণ এর ছওয়াবের নির্ধারিত কোনো সীমারেখা নেই; বরং আল্লাহ তাআলা নিজে এর সওয়াব প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। এর পরিমাণ যে কত হবে তা একমাত্র তিনিই জানেন।
রোজার এত বড় ফজিলতের একটি বাহ্যিক কারণ এও হতে পারে যে, রোজা ধৈর্যের ফলস্বরূপ। আর ধৈর্যধারণকারীদের জন্য আল্লাহ তাআলার সুসংবাদ হলো- ধৈর্য ধারণকারীরাই অগণিত সওয়াবের অধিকারী হবেন। (সুরা যুমার ১০)
২. সব ইবাদত আল্লাহর জন্য। রোজার বহুবিধ বিশেষত্বের কারণে শুধু তাকেই নিজের জন্য খাস করে নিয়েছেন এবং বলেছেন, রোজা তো আমার জন্য আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো’। তাই রোজার প্রতিদান তিনি নিজেই দান করবেন এবং বেহিসাব দান করবেন বলে তিনি রোজাদারকে সুসংবাদ দান করেছেন। (লাতায়িফ ১৬৮-১৭০)
হাদিসে রোজাদারের জন্য বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার ও প্রতিদানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।