1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের আখের গোছানোর কারণেই উপকূলের মানুষ বারবার পানিতে ডুবছে

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫

শ্যামনগর ‌‌প্রতিনিধি :সাতক্ষীরা ‌ এই সমস্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণেই সাতক্ষীরার উপকূলীয় মানুষ বারবার ডুবছে পানিতে,, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ‌ইউনিয়নের সরকারের দেওয়া ১০৪০ কোটি টাকা মেগা প্রকল্প শত শত কোটি টাকা হরিলুট হয়েছে,, এর সাথে জড়িত রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই সমস্ত রাঘব বোয়াল কর্মকর্তারা ,,তাদের নিজেদের আখের গোছাতে বারবার ডুবিয়ে মারছে উপকূলীয় মানুষের শুধু গাবুরা ‌মেগা প্রকল্প নয় সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে ঘুষ ‌বানিজ্য হয়েছে শ্যামনগর উপজেলার বুড়ি গোয়ালিনী এখান থেকে ইউনিয়নের জাপান সরকারের দেওয়া ৯৭কোটি টাকা, এখান থেকে ৩ লাখ৫০০০০ বস্তা সরকার নির্ধারিত দরে প্রতি বস্তা ৩৭০ টাকা সেই হিসাবে শ্যামনগর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদার ১২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে,, এখানে বরাদ্দ ছিল ৯ লক্ষ ৫০ হাজার বস্তা ডাম্পিং সেখানে মাত্র ৬ লক্ষ বস্তা ডাম্পিং করা হয়েছে,, সবচেয়ে দুঃখের বিষয় আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে অন্তর্বর্তী সরকার সব সেক্টরে বুঝে ওঠার আগে এই সমস্ত রাঘব বোয়াল ‌কর্মকর্তারা ট্যাগ ফর্সের কর্মকর্তাদের সাথে হাত মিলিয়ে এই কোটি কোটি টাকা বানিজ্য করেছে,, এই কাজ তদেরকিতে জেলা প্রশাসক ইউএনও ইসলাম কেউ অন্তর্ভুক্ত নেই সে কারণে দুর্নীতি লুটপাট করতে দুর্নীতিবাজদের কাছে খুব সহজ হয়ে পড়ে,, নাম প্রকাশে অপারগতায় একজন পানি ‌উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন এই সমস্ত টাকা শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেস্ট হাউসে বসে বারবার ভাগ বন্টন করা হয়েছে যাহা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পিয়ন ‌পর্যন্ত দেখেছেন,, বুড়ি গোয়ালিনী ‌ইউনিয়নে এছাড়া ১০ লক্ষ ৫০ হাজার ব্লক স্থাপনের বরাদ্দ রয়েছে যার কাজ চলমান তাছাড়া ২০ কোটি টাকা মাটির কাজে বরাদ্দ করা হয়েছে এই মাটির কাজও চলছে সীমাহীন দুর্নীতি পুরাতন রাস্তা কেটে কেটে মেজারমেন্ট মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে,, এই বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের জাপান সরকারের দেওয়া অর্থের লুটপাটের দায় উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদার ‍,, নাম না প্রকাশ ‌করার স্বার্থে ওই নির্বাহী প্রকৌশলী জানান গাবুরা মেগা প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতি ও লক্ষ লক্ষ ডাম্পিংয়ের বস্তা ডাম্পিং না করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এর সাথে ‍সাথে জড়িত রয়েছে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শুভেন্দুরা বিশ্বাস উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদার উপসহকারী প্রকৌশলী প্রিন্স রেজা উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম উপসহকারী প্রকৌশলী রমিত হোসেন উপসহকারী প্রকৌশলী শুভ্র চন্দ্র উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম সহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তা,, তারাও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে দেশে দেখভাল করার কোন প্রশাসন জোরালো না থাকায় লক্ষ লক্ষ ডাম্পিংয়ের বস্তা বিক্রয় করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, নিয়েছে বলে চঞ্চলক্ষা তথ্য রয়েছে। কারণ ডাম্পিংয়ের বস্তা বালি ভর্তি করে নদীতে ফেলে দিতে হয় ফেলে দেওয়ার পরে এর আর কোন প্রমাণ থাকে না সে কারণে উল্লেখিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা মন্ত্রণালয়ের ট্যাগফোর্স এর সাথেযোগাযোগ করে লক্ষ লক্ষ বস্তা ড্যাম্পিং ‍না করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ওই নির্বাহী প্রকৌশলী আরো জানান এই পুকুর চুরির বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রেখে এই কর্মকর্তারা এই সীমাহীন দুর্নীতি করেছে,, গাবু রায়একটি খাল খননে মেগা প্রকল্পের টাকায় ২ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল কাজটির দায়িত্ব ছিল উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলামকে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে সেখানে মাত্র ১৩ লক্ষ টাকার মাটি কেটে তড়িঘড়ি করে খালে পানি উত্তোলন করে ভরে দিয়েছে বাকি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান,, এ ব্যাপারে সরজমিনে গিয়ে কথা হয় গাবুরা ‌ইউনিয়নের শওকাত হোসেন ৪২ আব্দুল মালেক ৫০ শামসুর রহমান ৪৩ আব্দুল মমিন ৫৫ মিকাইল হোসেন ৪৬ আনোয়ার হোসেন ৩৫ হোসেন আলী ৫৩ মনসুর আলী ৬৫ রেজাউল করিম ৫৩ মনতাজ ঢালী ৫৫ আবুল হায়াত ৪২ আবুল কাশেম ৫৩ সরোয়ার হোসেন ৭২ জিন্নাত আলী ৫৩ মানিক মোল্লা ৭৫ মোশারফ হোসেন ৪৫ জাকির হোসেন ৫৩ আবিয়ার রহমান ৫৫ আমির আলী ৪০ মোসলেম উদ্দিন ৮২ কাওসার আলী ৪৩ রিয়াদ আলী ৫৩ মনোয়ার হোসেন ৫৫ আব্দুল খালেক ৬৩ শাহাজান ৩৫ জেহের আলী ৫৬ মিজানুর রহমান পঞ্চান্ন জালাল উদ্দিন ৪৪ আব্দুল আজিজ ৬৫ সুন্নত আলী ৫৩ আতাউর রহমান ৫৫ সানাউল্লাহ ৬৩ বরকতউল্লা ৫২ আব্দুল কাদের ৬৩ আব্দুল আলিম ৫৬ জবেদ আলী ৭৩ রুস্তম আলী ৩৫ এ ছাড়া ইউনিয়নের আমিনুর রহমান পঞ্চান্ন আবুল কালাম ৩৩ মাহবুব হাসান ৫২ লোকমান হোসেন ৩৩ মোক্তার আলী ৩৫ আরাফাত রহমান ৩৩ গণেশ মণ্ডল ৩৫ পতিরাম মন্ডল ৪২ গোবিন্দ মন্ডল ৩৩ অসীম মন্ডল ৪৪ ভবসিদ্ধ মন্ডল ৩৫ তাপস মন্ডল। ৩৩ পঞ্চানন মন্ডল ৪৩ কার্তিক চন্দ্র মন্ডল ৬৫ কেদার মন্ডল ৪৪ আমজাদ হোসেন ৫৫ আব্দুর রহমান ৪৩ মনিরুজ্জামান ৩৫ শামসুজ্জামান ৪৩ রহমত আলী।৩৫ আব্দুল মান্নান ৬৩ শাহাজান হোসেন ৩২ আব্দুর রউফ ৫৩ সফেদ আলী ৬৫ রামকৃষ্ণ মন্ডল ৫৩ এরা সবাই এই প্রতিবেদককে বলেন বাবা এত বড় দুর্নীতি অনিয়ম আমাদের বয়সে চোখে পড়েনি। কি সাহস এই দুর্নীতিবাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের যখন তারা বস্তা গনে? সেখানে আমাদের স্থানীয় লোকজনদের যেতে দেয় না আমরা যাওয়ার চেষ্টা করলে তাড়িয়ে দেয় তারপরে তারা বস্তা গুনে সরাসরি শ্যামনগরে চলে যায় শ্যামনগরে যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেস্ট হাউসে বসে খাতা পূরণ করে, এদিকে এছাড়া ওই নির্বাহিপুর কৌশলী আরো জানিয়েছেন যে পরিমাণ বস্তা ডাম্পিং করে সেই পরিমাণ বস্তা কাজের সাইডে নিয়ে যায় বাকি বস্তা ঢাকা থেকে নিয়ে যায় না তার টাকা হিসাব করে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা শ্যামনগর পান উন্নয়ন বোর্ডের গেস্ট হাউজে বসে ভাগাভাগি করে নেয় ‍,, বিষয়টি নিয়ে পানি উপদেষ্টা মহোদয় কে অনেকবার অবিভূত করা হয়েছে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মেগা প্রকল্পের দুর্নীতি ও জাপান সরকার দেওয়া অর্থ লুটপাটের বিষয় অতি দ্রুত তদন্ত করে প্রমাণ হলে এর সাথে যারা জড়িত তাদেরকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক বাড়ি‌পাঠানো হবে,, এছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় একাধারে যে লেখালেখি হচ্ছে এগুলোর কপি নিয়ে আদালত করলে মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন এলাকার সচেতন মহল,, এদিকে গাবুরা ‌ইউনিয়নের মেগা প্রকল্পে হরি লোট ইউনিয়নে জাপান সরকারের দেওয়া অর্থে হরিলুট এগুলো বন্ধ করে বাকি কাজগুলো সেনাবাহিনীর তদারকিতে শেষ করার জন্য উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধি ও সর্বস্তরের জনসাধারণ অন্তরপতি সরকারের পানি উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে.

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট