1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

দাকোপে তরমুজ চাষে ব্যাপক লোকসানে কৃষকরা দিশেহারা

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি : সেচ সংকটের কারণে এবছর খুলনার দাকোপে তরমুজের ফলন তেমন ভালো হয়নি। এ ছাড়া দর পতনেও এলাকার হাজারো তরমুজ চাষী লোকসান খেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন ফলন কম হলেও গড় হিসাবানুযায়ী প্রায় ৩৯৫ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় মোট চাষ যোগ্য জমি রয়েছে ২০ হাজার ৮৮৩ হেক্টর। এর মধ্যে এ বছর তরমুজ চাষ হয়েছে ৮ হাজার ১০০ হেক্টর বা ৬০ হাজার ৭৫০ বিঘা জমিতে। গত বছর তরমুজ চাষ হয়েছিলো ৫ হাজার ৭০০ হেক্টরে। এ ছাড়া বোরো ধান ২৯৩ হেক্টর, সূর্য্যমুখি ৪০ ভূট্টা ২০ হেক্টর, বাঙি ৪৫ হেক্টর, গম ২ হেক্টর, মুগ ডাল ১৭ হেক্টর, তিল ১০ হেক্টর ও ৪০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মোট ১৯ হাজার ৪০০ জন কৃষক তরমুজের এ আবাদ করেন। এঅঞ্চলের অধিকাংশ কৃষক প্রধান ফসল আমনের পর এ মৌসুমে তরমুজ, সবজিসহ অন্যান্য ফসলের উপর নির্ভরশীল। কৃষকরা এসব ফসল বিক্রি করে সারা বছরের ধার দেনা ও লোনের টাকা পরিশোধ করে সংসার খরচসহ ছেলে মেয়েদের কাপড় চোপড়, স্কুল-কলেজের খরচসহ সকল ব্যায়ভার বহন করে থাকে। কিন্তু এবছর সেচসহ নানা কারণে তরমুজের ফলন তেমন ভাল হয়নি। তরমুজের ক্ষেত বেচাকেনাও প্রায় শেষ প্রান্তে। এ ছাড়া দর পতনেও এলাকার হাজারো তরমুজ চাষী লোকসান খেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিনে উপজেলার চুনকুড়ি এলাকার কৃষক তাপস কুমার মন্ডল বলেন, তিনি এবার ৯ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এতে তার ৫০ শতকের প্রতি বিঘায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও হয়েছে খুব কম। তিনি তরমুজ বিক্রি করছেন মোট ৩ লাখ টাকা। তিনি বলেন খরচের টাকা আরো গায়ে পড়েছে। এতে তার পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হবে।
একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য কৃষক জীবনানন্দ মন্ডল ও প্রদীপ কবিরাজ জানান, বিশেষ করে সরকারি জলাশয় এবং পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সেচের অভাবে তরমুজের ফলন এবার ভালো হয়নি। এ ছাড়া ভেজাল সার ও বীজের কারণেও। তা ছাড়া অতিরিক্ত সার ও কিটনাশক ব্যবহারের ফলে উপকারি পোকা যেমন মৌমাছি মারা গেছে। ফলে সময়ে মতো পরাগয়ন না হওয়ায় ফল অনেক কম হয়েছে এবং বড় হয়নি। যে কারণে অধিকাংশ কৃষক ব্যাপক লোকসান খেয়ে ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কি খেয়ে বাঁচবেন এই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, মাঠের খাল ও জলাশয়গুলোতে পলি পড়ে গভিরতা কমে যাওয়ায় পানি শুকিয়ে গেছে। নদীর পানিও প্রচন্ড লবণ থাকায় ব্যবহার করতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে সেচের পানির অভাবে এবছর তরমুজের ফলন ভালো হয়নি। কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় ১৫০টি মিনি পুকুর, ৩টি বড় কেনাল খনন করা হয়েছে। এ ছাড়া আরো ৪০টি খাল খননের জন্য তালিকাসহ মন্ত্রনালয় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ে ক্রমে সব খালগুলো খনন করতে পারলে কৃষকদের সেচের পানি সংকট কিছুটা লাঘব হবে বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া প্রথম দিকে তরমুজের ক্ষেত ভালো দামে বিক্রি হয়েছে। মাঝে দাম অনেক কম ছিলো। এখন আবার দাম বেশি। এভারেজে ৩৩ শতকের প্রতি বিঘা ৬৫ হাজার টাকা ধরলে ৩৯৪ কোটি ৮৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট