তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০টি এসির আউটডোর মেশিন চুরি হয়েছে। প্রায় ১সপ্তাহ আগে এগুলো চুরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসিগুলো ভালো থাকলেও দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হওয়ার কারণে চুরির বিষয়টি গত শনিবার সন্ধ্যায় জানাজানি হয়। ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তালা থানায় একটি জিডি করেছেন।
জানা গেছে, তালা উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেনের উদ্যোগে হাসপাতালের নারী ও পুরুষ সাধারণ ওয়ার্ডে ১০টি এসি স্থাপন করেন। ইউএনও ইকবাল হোসেন তালা উপজেলাতে দায়িত্বরত থাকা পর্যন্ত এসিগুলো ব্যবহৃত হতো।
তিনি বদলির পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করতে এবং সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন কিছু রোগীদের স্বার্থে এসিগুলো ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে সেভাবে এসিগুলো ভালো থাকলেও অব্যবহৃত ছিল। এরইমধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় এসির ১০টি আউটডোর চুরির বিষয়টি জানাজানি হয়। ধারনা করা হচ্ছে- এগুলো প্রায় ১সপ্তাহ পূর্বে যেকোনও সময়ে চুরি হতে পারে।
এদিকে, এসির আউটডোর চুরির ঘটনার জানাজানি হবার পর শনিবার রাতে হাসপাতালের কতিপয় সাবেক কর্মচারী বিল্লাল হোসেন নামের এক হোটেল কর্মচারীকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তাকে একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে এসির আউটডোর যন্ত্র চুরির অভিযোগে বেধে রাখে এবং ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ মারপিট করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এক পর্যায়ে গভীর রাতে সংবাদ পেয়ে তালা থানা পুলিশ হাসপাতালের ওই কক্ষ থেকে বিল্লালকে উদ্ধার করেন। বিল্লাল হোসেন মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ্য এবং তালা বাজারের একটি হোটেলে কাজ করেন। এরআগে বিল্লাল তালা হাসপাতালে দৈনিক ভাতা চুক্তিতে প্রহরীর কাজ করতেন। বিল্লালকে আটকিয়ে মারপিট করা এবং হাসপাতালের মালামাল চুরির ঘটনায় তালা উপশহরের মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এবিষয়ে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাজীব সরদার জানান, আনুমানিক ১সপ্তাহ আগে যে কোন সময়ে এসির আউটডোরগুলো চুরি হতে পারে। শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানতে পারার পর থানায় জিডি করার জন্য আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে বলা হয়েছিল এবং সেভাবে রোববার সকালে জিডি করা হয়েছে। এছাড়া বিল্লালকে এনে আটকিয়ে রাখার বিষয়টি আমাকে না জানিয়ে করা হয়েছিল। বিষয়টি জানার পর তাকে ছেড়ে দেবার জন্য বলা হয়। তবে, ঘটনাটি দুঃখজনক বলে জানান তিনি।