1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

ভিন্ন ধর্ম অবলম্বনকারীদের সাথে কেমন আচরণের কথা বলেছে ইসলাম

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

আল্লাহর নবী (সা.) অমুসলিমদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতেন, সে-সম্পর্কে জাবের (রা.) বর্ণনা করেন, ‘একদিন আমাদের পাশ দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাচ্ছিল। দেখে রাসুল (সা.) দাঁড়িয়ে গেলেন। তার দেখাদেখি আমরাও দাঁড়ালাম। জিজ্ঞেস করলাম, ‘আল্লাহর রাসুল, এটা তো এক ইহুদির লাশ। রাসুল (সা.) বললেন, ‘যখন কোনো লাশ নিতে দেখবে, তখন দাঁড়াবে।’ (বুখারি, হাদিস: ১৩১১)
ইসলাম অমুসলিমের সঙ্গে সুন্দর, সদয় ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করতে নির্দেশ দেয়। কোরআনে আছে, ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। আল্লাহ তো ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন। (সুরা মুমতাহিনা, আয়াত: ৮)
মদিনা সনদের একটি ধারা ছিল—প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে এবং মদিনা রাষ্ট্রকে হেফাজত করবার জন্য একে অপরকে সহযোগিতা করবে। মুসলমানদের ওপর বহিঃশত্রু আক্রমণ করলে মুসলমানদের পক্ষ হয়ে ইহুদিরা লড়বে, ইহুদিদের ওপর আক্রমণ হলে মুসলমানরা মদিনা রাষ্ট্রকে হেফাজত করবার জন্য ইহুদিদের পক্ষ হয়ে বহিঃশত্রূ মোকাবিলা করবে।

এ রকম আরও অনেক চুক্তি ছিল, যা থেকে বোঝা যায়, যে ভূখণ্ডে বিভিন্ন ধর্ম-গোত্রের মানুষ একত্রে বসবাস করে, সেখানে নিরাপত্তার ক্ষেতে একে অন্যের সহযোগী হবে।
ইসলামের বিধান হলো, ভিন্ন ধর্মের উপাসনালয়ে সাধারণ অবস্থায় তো বটেই, যুদ্ধাবস্থায়ও হামলা করা যাবে না। কোনো উপাসনালয় জ্বালিয়ে দেওয়া যাবে না। রাসুল (সা.) কোনো জনপদে সৈন্য দল পাঠানোর সময় বলতেন, ‘আমি তোমাদের কয়েকটি উপদেশ দিচ্ছি: (যুদ্ধক্ষেত্রে) তোমরা বাড়াবাড়ি করবে না, ভীরুতা দেখাবে না, কারও চেহারা বিকৃত করবে না, কোনো শিশুকে হত্যা করবে না, কোনো উপাসনালয় জ্বালিয়ে দেবে না এবং কোনো গাছ উৎপাটন করবে না।’ (মুসান্নাফ আবদির রাজ্জাক, হাদিস: ৯৪৩০)
অমুসলিমের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে এবং তার থেকে বৈধ, হালাল খাবারও গ্রহণ করতে বাধা নেই। রাসুল (সা.) নিজে অমুসলিমদের ঘরে খাবার খেয়েছেন এবং তিনি নিজেও তাদের খাইয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.)-এর ঘটনা। একদিন তার ঘরে একটি বকরি জবাই করা হলো। খাবার রান্না হলে তিনি তার দাসকে জিজ্ঞেস করলেন, আমাদের ইহুদি প্রতিবেশীকে কি খাবার দিয়েছ?’ এরপর তিনি বললেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, প্রতিবেশীর বিষয়ে জিবরাইল (আ.) আমাকে এত উপদেশ দিচ্ছিলেন, আমি মনে করছিলাম, তিনি হয়তো তাদের ওয়ারিশই বানিয়ে দেবেন।’ (তিরমিজি হাদিস: ১,৯৪৩)

রাসুল (সা.) ভিন্ন ধর্মের মানুষকে প্রাপ্য সম্মান দিতেন। একজন অবিশ্বাসী নেতাকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে এনে মসজিদে নববীর খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হলো। রাসুল (সা.) এসে দেখেন, তার হাত শক্ত করে বাঁধা, এতে তার কষ্ট হচ্ছে। তিনি বললেন, তার বাঁধন হালকা করে দাও। সাহাবিরা তা-ই করলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২,২৯১)
অমুসলিমদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা নিষেধ। যেসব অমুসলিম মুসলিম দেশে জিম্মি হিসেবে (মুসলিম রাষ্ট্রের আইন মেনে) বসবাস করে, তাদের তাদের আঘাত করা অন্যায়। হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিম নাগরিককে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না, অথচ তার সুগন্ধি ৪০ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়।’ (বুখারি হাদিস: ৩,১৬৬)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট