1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০১:০১ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

মনিরামপুরে মাটি ও বালি উত্তোলন বন্ধের মাইকিং

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের মনিরামপুরে মাটি ও বালি উত্তোলন বন্ধের মাইকিং করলেও পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হচ্ছে মৌখিক অনুমতি। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের অধিকাংশ ইউনিয়নের মাটি কেটে ও ভূগর্ভের থেকে পাইব বরিং করে ম্যাশিংনের মধ্যেমে বালি উত্তালন করে অন্যত্রে বিক্রি করা হচ্ছে। এই ঘটনায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ২০১০ এর ১৫ (১) ধারায় জেল জরিমানা করা হয়েছে। তারি ধারাবাহিকতায় উপজেলা ব্যাপী মাটি কাটা ও বালি উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করা বন্ধের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে কয়েক দিন ধরে মাইকিং করা হয়। মাইকিং শেষ না হতেই, বৃদ্ধা আক্সগুল দেখিয়ে দিল মাটি খেগোরা। জানাযায়, আবারও পৌর এলাকার ইট ভাটা থেকে শুরু করে মাটি বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার ৫ নং হরিদাস কাটি ইউনিয়নের পাঁচকাটিয়া এলাকার এক মাছের ঘের কাটার অজুহাত দেখিয়ে ইস্কো দিয়ে মাটি কেটে ৮টি টলিতে করে রাজু বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে । ১৩ নং খানপুর ইউনিয়ার বিল্লাল, পাড়িয়ালি গ্রাম থেকে মাটি কেটে অন্য ইউনিয়নে বিক্রি করে চলেছে। বিল্লাল কাছে জানতে চাইলে বলেন উপজেলা প্রশানের কাছ থেকে মৌখিক অনমতি নিয়ে এসেছি। ১৪ নং দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের দওকোনা গ্রামের আঃ সালাম ঘের কাটার নাম করে মাটি অন্য জায়গায় বিক্রি করছে। সালামের কাছে মাটি কাটার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে এসেছি। ১৬ নং নেহালপুর ইউনিয়নের ইকবাল দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ঘের থেকে ইস্কো দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে। ইকবালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন উপজেলা পিআইওর বরাদ্ধ কৃত মাটি দিতে হচ্ছে। মশিয়াহাটি ডিগ্রী কলেজ মাঠ ও লখাইডাঙ্গা স্কুল মাঠ ভরাট করার জন্য। সোমবার সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, ব্যক্তি মালিকানাধীন ধানি জমি থেকে মাটি কেটে মাছের ঘের বানানোর কথা বলে ৮/৯ টি টলিতে করে অন্য জায়গায় মাটি বিক্রি করছে। এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, মাটির গাড়ি বার বার যাওয়া আসার জন্য নতুন রাস্তার পাশ ভেঙ্গে যাচ্ছে ও সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় চলাচলের জন্য জনগনের ঝুঁকি হয়ে পড়ছে, ঘটতে পারে যে কোন সময় সড়ক দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ মন্ডল বলেন, ১৫ নং কুলটিয়া ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে পিচের রাস্তার পাশে কামরুজ্জামান ও খিদির হাচান একত্রে দীর্ঘ দিন ঘেরের চাষ করে আসছে। কিন্ত অই ঘের সংস্করের নামে রাস্তার উপর দিয়ে রাখা হচ্ছে মাটি। বৃষ্টি মৌসূমে আমাদের চলাচলের জন্য বারবার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নেহালপুর এলাকার স্থানীয় ভুক্তভোগী মোবারেক বলেন, কয়েকদিন মাটি কাটা বন্ধ ছিল, আবারো শুরু হয়ে গেছে এটা আবারও বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাছের ঘের সংস্কারের জন্য ঘেরের চারপাশের ভেড়ি বাঁধ দিতে পারবে। কিন্তু মাটি অন্যত্র বিক্রি করতে পারবেনা। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুমের কাছে ফোন দিলে তিনি বলেন তথ্য ও ছবি পাঠান। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিশাত তামান্নার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সময় পাইলে আমি ঘটনাস্থলে আসব। শেষ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ঘটনা স্থলে না আসায় ক্ষুদ্ধ এলাকার সচেতন মহল, এ ছাড়াও এলকাবাসি মনে করেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভূমিদস্যুরা এই মাটি বিক্রি করছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট