ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরা তালার নিভৃত পল্লীতে বাশের বাশির যাদু মাখা সুরে এলাকার সাধারন মানুষের মন কেড়েছে সুব্রত শীল নামে এক যুবক । । শুধু তাই নয় এই সুলোলিত কন্ঠে সোমবার সন্ধ্যায একটা চায়ের দোকান থেকে মধুমালা মদন কুমারের সেই ছায়াছবির গানটি কানে পৌছাতে গাড়ীটি ব্রেক করে দাড়িয়ে তার সেই গানটি কিছু সময় শুনলাম। মুহুর্তে সেই গ্রাম বাংলার গানটি হৃদয়ে স্থান করে নিল।
এক পাযে দু পাযে হেটে সেই বাঁশিওয়ালার কাছে গিয়ে বসলাম কিন্ত সে চায়ের দোকানে ১০/১২ জন লোক তার বাশির সুরের যাদুতে মগ্ন হয়ে বসেছে। চায়ের দোকানদার জগদীশ মন্ডল জানান আসলে সুব্রত আমাদের বাড়ির পাশে বাড়ি। সে ছোট বেলা থেকে বাশের চোঙ দিযে বাশি তৈরী করত। প্রায় সময় তার হাতে বাশি থাকতো। তবে আমরা জানি সুব্রত শীল একদিন কিছু অর্জন করবে। বর্তমানে সুব্রত শীল বাশি বাজিয়ে এলাকার ছোট বড় সকল কে তার সুরের যাদুতে মাতিয়ে রেখেছে।
কথা হয় বাশিওয়ালা সুব্রত শীলের সঙ্গে । সে সাংবাদিক কে জানান ছোট কাল থেকে সে বাশের চোঙ বানিযে বাশি বাজানোর চেষ্টা করত। আস্তে আস্তে সে বাশের বাশুরী হয়ে বিভিন্ন যাত্রাপালা অনুষ্ঠানে গান গেযে জীবিকা নির্বাহ করছে।
শুধু তাই নয় সুব্রত শীল এখন সংসারের যাবতীয় খরচ এই বাশের বাশি বাজিয়ে সেখান থেকেই মেটায। সুব্রত শীল জানান যাত্রা পালা অনুষ্ঠানে প্রতি রাতে সে ১ হাজার টাকা আয় করে থাকে।
তিনি আরো জানান যখন বাড়ি থাকে তখন ঐ বাশের বাশি টা হাতে করে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। যেখানে সুব্রত বসে সেখানেই বাশি বাজিয়ে সবাই কে মাতিযে তোলে।
তার হাতের ঐ বাশিটার দাম কত জানতে চাইলে তিনি জানান তার বাশিটার দাম প্রায ৭/৮ শত টাকা।
এক দিকে সুব্রত শীল বাশের বাশি বাজিয়ে সংসারের হাল ধরে রেখেছে অন্য দিকে বাশির সুরে এলাকার ছোট বড় সকল কে মাতিযে রেখেছে। সুব্রত শীল তার বাশের বাশির যাদুতে বাকী জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারেন সে জন্য তিনি এলাকার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সুব্রতশীল তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের ধুকুড়িয়া গ্রামের বিনয় কৃষ্ণ শীলের পুত্র।