ডেস্ক রিপোর্ট : দাকোপে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে খাস জমি দখলে নিয়েছেন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা। মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে বিচারাধীন থাকা জমি দখলে নেওয়া কতটুকু ন্যায় সঙ্গত এমন প্রশ্ন দখলদার পক্ষের ?
দাকোপের সুতারখালী ইউনিয়নের ১৪ নং সুতারখালী মৌজায় ৩৩০ নং খতিয়ানে এস এ ৮২৫, ৫৯৩ ও ৫৯৪ নং দাগে থাকা ২০.২৬ একর ১৯৬১/৬২ সালে খাজনা বাকীর দ্বায়ে নিলাম হয়। সেই নিলাম খরিদা সুত্রে মল্লিক আলী আহম্মদ দিং ওই জমি ভোগ দখলে থাকেন। পরবর্তীতে মিস কেস নং ০১/৯৮-৯৯ সালে ৯২/ক ধারা মোতাবেক উক্ত ২০.২৬ একরের মধ্যে ১৫.৬৩ একর জমি সরকার মালিক বিহীন দেখিয়ে খাস করেন। উক্ত খাস আদেশের বিরুদ্ধে দখলদার মল্লিক আলী আহম্মদ দিং সহ রমজান মল্লিক একই বছর দাকোপ সহকারী জজ আদালতে ৬৮/৯৯ নং মামলা দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মহামান্য হাইকোর্ট ৩৭৫৭/২০০২ মামলায় নিলাম ক্রয় কারী পক্ষে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের আপীলের প্রেক্ষিতে পূর্বের আদেশ স্থগিত করে তারই ধারাবাহিকতায় সর্ব শেষ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে সিভিল রিভিউ ১৫/২০১৫ পরবর্তীতে রি নাম্বার হয়ে সিভিল আপিল ৩৭৬/২০১৫ হিসাবে বর্তমানে শুনানীর পর্যায়ে চলমান আছে। এমতাবস্থায় গত ০৫ মে ২০২৫ দাকোপ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জুবায়ের জাহাঙ্গীর পিলার সীমানা ও লাল পতাকা টানিয়ে উক্ত ১৫.৬৩ একর জমি সরকারের দখলে নিয়ে সেখানে সাইনবোর্ড স্থাপন করে আসেন। সঙ্গত কারনে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে বিচারাধীন থাকা জমি দখলে নেওয়া কতটুকু ন্যায় সঙ্গত এমন প্রশ্ন দখলদার পক্ষের ? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জুবায়ের জাহাঙ্গীর বলেন, বর্তমানে তাদের পক্ষে কোন রায় না থাকায় নিয়ম মেনে সরকারী সম্পত্তি সরকারের অনুকুলে আছে। বিজ্ঞ আদালত যদি তাদের পক্ষে রায় দেয় তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের জমি বুঝিয়ে দেব।