মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বদলীর এক বছর পরেও বহলা তবিয়তে আছেন মোঃ এমাদুল নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক। এঘটনায় উপজেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ সহকারী শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ১৬৩নং পূর্ব হারজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। জানাগেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার ১৬৩নং পূর্ব হারজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এমাদুল ওই বিদ্যালয় থেকে অন্যত্র বদলীর জন্য গত বছরের মার্চ মাসে বরিশাল প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবর আবেদন করেন। প্রধান শিক্ষক মোঃ এমাদুল এর আবেদনের প্রেক্ষিতে পরের মাসেই বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয় থেকে অন্যত্র বদলীর আদেশ দেয়া হয়। একই আদেশে ওই শিক্ষক সহ আরো ৬টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বদলীর আদেশ দেন বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়। কিন্তু মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস অন্য ৬টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বদলীর আদেশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিলেও গত এক বছর ধরে ১৬৩নং পূর্ব হারজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধন শিক্ষক মোঃ এমাদুল এর ব্যাপারে নিরবতা পালন করে আসছে।
এ বিষয় প্রধান শিক্ষক মোঃ এমাদুল বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে বদলীর কোন কাগজ না পাওয়ায় আমি অন্যত্র যেতে পারিনি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ হেমায়েত গাজী বলেন, প্রধান শিক্ষক মোঃ এমাদুলের বদলীর আবেদন আমরা গ্রহণ করিনি। কিন্তু বরিশাল বিভাগীয় অফিস থেকে ভুলে তার বদলীর আদেশ আসে।
সদ্য যোগদানকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: মনসুর হেলাল বলেন, এ বিষয় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।