1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ১২:০৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

ডুমুরিয়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের মূল্যায়ন সভা

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : খুলনার ডুমুরিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রথম সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় মূল্যায়ন সভা মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ১১ টায় ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনিক ভবন সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন, অনুষ্ঠানে সভা প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন,কি নোট স্পিকার একল্প পরিচালক, ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প,প্রকল্প পরিচালক ফজলুল হক মনি,

অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ওয়ালিদ হোসেন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ও বক্তৃতা করেন‌ খুলনা‌ সিনিয়র মনিটরিং কর্মকর্তা ধিমান‌ মজুমদা, ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান,‌ ডুমুরিয়া উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সেট্রক্টার মোঃ মনির হোসেন,ডুমুরিয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সরদার জাহিদুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হামিদুর রহমান,পরিমল কুমার বিশ্বাস, কৃষক ‌উপসহ‌কারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন,  করুণা মন্ডল,

ডুমুরিয়া উপজেলা এস্ এ পিপিও আলি হাসিন, সাংবাদিক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক কৃষাণি উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জলবায়ু পরিবর্তনের বেশ ঝুঁকি রয়েছে। নড়াইলে এই ঝুঁকি সেভাবে না থাকলেও এ জেলার কৃষকেরা আধুনিক কৃষিতে পিছিয়ে পড়ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উচ্চ তাপমাত্রা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের কারণে এ অঞ্চলের ফসলের জমিতে লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ ঘটে, শুষ্ক মৌসুমে মিষ্টি পানির অভাব দেখা দেয়, শীতকাল থাকে কম সময়, মাটিতে বেশি দিন ‘জো’ ধরে রাখা যায় না। এসব কারণে রবি ও খরিপ মৌসুমে এ অঞ্চলের মোট ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য জমির মধ্যে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর সাময়িক পতিত জমি ও ৬৬ হাজার হেক্টর স্থায়ী পতিত জমি সম্পূর্ণ বা আংশিক অনাবাদী থাকে। এসব দিক বিবেচনা করে লাগসই কৃষি প্রযুক্তি, উত্তম পানি ও মাটি ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় ও জলবায়ুর অভিঘাত সহনশীল ফসল ও ফসলের জাত চাষের মাধ্যমে এ অঞ্চলের ফসলের উৎপাদন ও দানশীলতা বাড়ানো হবে এবং পতিত ও আংশিক অনাবাদী জমিকে চাষের আওতায় এনে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি করা হবে।

কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি অংশীদার এবং উন্নত প্রযুক্তির সফল প্রয়োগকারীদের সাফল্যের উদাহরণগুলো অন্য কৃষকদের জন্য উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে প্রকল্প মেয়াদে প্রকল্পভূক্ত উপজেলা পর্যায়ে ৯০টি কৃষি প্রযুক্তি মেলা আয়োজন করা হবে। প্রকল্প পরিচালকের অনুমোদনক্রমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসার ৩ (তিন) দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা আয়োজন করবেন। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ডিএই’র সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট উপপরিচালকবৃন্দ কৃষি প্রযুক্তি মেলা পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করবেন।

প্রকল্প এলাকায় যেখানে লবণাক্ততাজনিত কারণে ও সেচের পানির অভাবে রবি এবং খরিপ-১ মৌসুমে অনেক জমি পতিত থাকে, সেখানে উপযোগী ৩০ শতাংশ জমির জন্য মিনি পুকুর খনন (২০ মিটার X১০ মিটার X৩ মিটার) বা ৬০০ ঘনমিটার আয়তনের ১ টি করে মোট ৭০০টি মিনি পুকুর খনন করে সেচের পানি সংরক্ষণ করা হবে এবং প্রকল্পের উপযুক্ত প্রদর্শনী বাস্তবায়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন কৌশল হিসেবে লবণাক্ত বা পতিত জমিতে এর দ্বারা সেচের মাধ্যমে ফসল চাষের আওতায় আনা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট