তালা প্রতিনিধি : আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় ১৯ হাজার ২৬টি পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ১৪ হাজার ৬৮০টি। ফলে মোট চাহিদার বিপরীতে অত্র উপজেলায় বিক্রিযোগ্য গরু-ছাগলের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আশানুরূপ লাভ না হওয়ার আশংকা করছেন খামারিরা।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হিসাব মতে, তালা উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ৪০৮ জন খামারি কোরবানির জন্য ১৯হাজার ২৬টি পশু প্রস্তুত করেছেন। অত্র উপজেলায় মোট পশুর চাহিদা রয়েছে ১৪ হাজার ৬৮০টি। অর্থাৎ ৪ হাজার ৩৪৬টি পশু অতিরিক্ত থেকে যেতে পারে। যা অত্র এলাকা থেকে অন্য উপজেলা বা জেলায় পাঠানো যাবে।
গরু খামারি নোয়াকাটি গ্রামের মুরাদ হাসান জানান, একটি গরুর পেছনে যে অর্থ খরচ করা হচ্ছে, বিক্রি করে সেই তুলনায় লাভ করা যাচ্ছে না। এর কারণ হলো গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি। ১ লাখ টাকা মূল্যের একটি গরু বর্তমানে ক্রেতারা ৭০-৮০ হাজার টাকায় কিনতে চাচ্ছে। তবে বর্তমানে কোরবানির বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।
মোঃ হাসমত আলী নামের এক ক্রেতা জানান, হাটের গরুর রোগবালাই হতে পারে তাই খামার থেকে গরু কিনতে এসেছেন তিনি। তবে খামারে গরুর দাম কিছুটা বেশি। গতবছর যে গরুর দাম ছিলো ৮৫ হাজার সেই ধরনের গরু এ বছর দাম যাচ্ছে প্রায় এক লক্ষ টাকা। মূলত গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে খামারিরা গরুর দাম বৃদ্ধি করছেন বলে জানান তিনি।
তালা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাছুম বিল্লাহ জানান, ‘অত্র উপজেলায় চাহিদার তুলনায় কোরবানীর পশুর মজুদ রয়েছে বেশি। খামারিরা যাতে কোনো প্রকার স্টেরয়েড ও হরমোন ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করবে। সুস্থ পশু বিক্রি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন হাটে শীঘ্রই শুরু করা হবে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা। খামারিদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত।’