পাইকগাছা পৌর প্রতিনিধি : পাইকগাছার গদাইপুরের হিতামপুর জামে মসজিদের সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সদস্য সহ এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ফিল্ড সুপারভাইজার কে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা না করে অর্থ খরচ, সংস্কার সহ সকল উন্নয়ন কাজ করা, পূর্বের ইমাম কে অব্যাহতি দিয়ে নতুন ইমাম নিয়োগ এবং তাদের একক সিদ্ধান্তে মসজিদ পরিচালনা করা সহ নানাবিধ অনিয়ম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব কারণে সভাপতি সম্পাদকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে কমিটির ৭ সদস্য এক যোগে কমিটি থেকে পদত্যাগ ও করেছেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে অতি সম্প্রতি মসজিদের অনুকূলে ১০ লক্ষ টাকা সরকারি বরাদ্দ হয়। বিষয় টি রেজুলেশন এবং কমিটির সদস্যেরঅবহিত না করে সভাপতি সম্পাদক সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশ করে সিডিউল বহির্ভূত নিম্নমানের টাইলস লাগিয়ে আনুমানিক ২ লক্ষ্য টাকার আর্থিক অনিয়ম করেছেন। এছাড়া মসজিদের বাৎসরিক চাঁদা, হারীর টাকা, ওয়াজ মাহফিলের গচ্ছিত টাকা রেজুলেশন না করেই ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে। যা সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিটির কোন সদস্য কে অবহিত না করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পূর্বের নিয়োগকৃত ইমাম হাফেজ বিল্লাল হোসাইন কে অব্যাহতি দিয়ে নতুন ইমাম নিয়োগ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলেই সভাপতি সম্পাদক কমিটির সদস্যের সাথে রুঢ় আচারণ করে এবং হুমকি দেয়। এ কারণে শেখ সিরাজুল ইসলাম, শেখ অহিদুর রহমান, সহ ৭ সদস্য এক যোগে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। এদিকে সুষ্ঠু ভাবে মসজিদ পরিচালনার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ইউপি সদস্য আনোয়ার এলাহী সহ এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয় টি সরেজমিন গিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ফিল্ড সুপারভাইজার কে দায়িত্ব অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন। এ বিষয়ে তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ফিল্ড সুপারভাইজার হাফেজ বিলাল হুসাইন। অন্যদিকে আনিত এ অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন মসজিদ কমিটির সভাপতি সম্পাদক।