দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুরা এবং পার্শ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াবাঁশবাড়িয়া খালের উপর কোন সেতু না থাকায় বাঁশের সাকোই একমাত্র ভরসা। এই এলাকার প্রায় ২৮ হাজার মানুষ একটি সেতুর জন্য দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। এই এলাকার মানুষের অপেক্ষায় কেটেছে ৭৮ বছর কেউ কথা রাখেনি। চাঁদপুরা-গুয়াবাঁশবাড়িয়া খালে সেতু হয়নি। সেতু না হওয়ার কষ্টে রয়েছেন পাঁচ গ্রামের ২৮হাজার মানুষের। দুর্ভোগ সয়ে এলাকাবাসী বর্ষায় নৌকা আর শুস্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে এ খাল পারাপার হচ্ছে।
সেতু না হওয়ার কারণে বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াবাঁশবাড়িয়া এলাকার রাস্তাসহ অন্য কোনো উন্নয়নও তেমন হয়নি। এভাবেই আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন ৭৫বছরের বৃদ্ধ সাঈদুল ইসলাম মোহন খাঁন। দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের খালের দক্ষিন পাশের চাঁদপুরা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তার মতো হাজারো মানুষের দাবি এই খালের উপরে একটি পাকা সেতু নির্মানের।
উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের চাঁদপুরা-গুয়াবাঁশবাড়িয়া গ্রামের খালে বাঁশের সাঁকো উঁচু-নিচু হওয়ায় বয়স্ক মানুষ ও রোগীদের পারাপরে দুর্ভোগের শেষ নেই। নিরুপায় হয়ে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন মানুষ। খালের উত্তর পাশের জাফর হোসেন, জামাল মিয়া ও শাহ আলম গলাচিপা উপজেলার বকুল বাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াবাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তারা। তারা জানান, চাঁদপুরা-গুয়া বাঁশবাড়িয়া খালে সেতু না থাকায় তাদের গ্রামে পাকা সড়ক হয়নি। ছেলে মেয়েদের স্কুুল-কলেজে যাতায়াত, ফসল পরিবহনসহ উপজেলা সদরে যেতে হয় দূর্ভোগে। ভরা বর্ষায় খেয়ার নৌকায় ও শুকনোয় মৌসুমে বাঁশের সাঁকো পার হতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
উপজেলার আলীপুরার স্লুইজ বাজারের বাসিন্দা হাবিব বলেন, এই ইউনিয়ন এলাকাটি কৃষি প্রধান ইউনিয়ন। গ্রামের মানুষ, তাদের খেতের ফসল পারাপার এবং জেলা-উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সেতুটির অভাবে। তা ছাড়া দুই উপজেলার পাঁচ গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে আনতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেতু না থাকায় মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই।