ডেস্ক রিপোর্ট : সোমবার রাতে নগরীর ময়লাপোতা রহরিজন পল্লী এলাকায় খুন হওয়া সবুজ হাওলাদারের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ভিকটিম পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছে। যদিও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কেউ আটক হয়নি। নিহত ব্যক্তি পানির পাইপ বসানোর শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বটিয়াঘাটা উপজেলার চকরাখালী গ্রামের জনৈক মোঃ হেমায়েত হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২ জুন, রাত প্রায় ১০ টা। ছয় জনের একদল আততায়ী সবুজ হাওলাদার (৩৫) নামে একজনের ওপার হামলা চালায়। তখন ভিকটিমের বুকে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়। ধাঁরালো ছুরির ফলা তার ফুসফুস পর্যন্ত পৌছে যায়। সন্ত্রাসীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আশ-পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তখন ভিকটিমের স্বজনেরা তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেও ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ঘাতকদের গ্রেফতার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধাঁরালো অস্ত্র উদ্ধারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।