দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে আনারস চাষ শুরু হয়েছে। উপজেলার প্রান্তিক চাষীরা পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসতঘর, আঙ্গিনা, আবাদি ও অনাবাদি জমিতে আনারস চাষ করা হয়। কৃষকরা নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে কেউ কেউ স্থানীয় হাট বাজারে বিক্রি করছে। চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০ একর বিভিন্ন জমিতে আনারস চাষ করা হয়। উপজেলার কয়েকজন চাষীদের বাণিজ্যিক ভাবে আনারস চাষ করার জন্য পাশে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র ও দশমিনা উপজেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তর। জানা যায়, লেবুখালীত অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেদ্র চাষীদর মাঝে বিনামূল্য জায়ট কিউ ও জলডুবি প্রজাতির আনারস চারা সরবরাহ করেছে।
উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের মধ্য রণগোপালদী গ্রামের চাষী শাহ আলম জোমাদ্দার জানান, আমি অনেক বছর যাবৎ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নার্সারী ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন ফলমূল উৎপাদন করি। আনারস চাষ সঠিক ফলন আর ফল খরচের চেয়ে প্রায় তিন-চার গুন লাভ বেশি হয়। তাই আমি এই বছর উপজেলা কষি কর্মকর্তার পরামর্শে বাণিজ্যিকভাবে আনারস চাষ করছি। জেলার লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র থেকে আমার লাগানো সকল আনারস চারা বিনামূল্যে দেয়া হয়। আমি প্রায় অর্ধ একর পতিত জমিতে আনারস চাষ করেছি। আশা করি অনেক ভালো ফলন পাবো। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নর দক্ষিন আদমপুর গ্রামের চাষী সুলতান সরদার জানান, জেলার লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে জায়ট কিউ ও জলডুবি প্রজাতির দুই হাজার আনারসর চারা পেয়ে আমার অর্ধ একর পতিত জমিতে চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করি আমি অনেক লাভবান হবো।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাফর আহামদ জানান, আনারস চাষের জন্য বাড়তি জমির প্রয়োজন হয় না। উপজেলার পতিত জমি চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা হিসেবে আনারস চাষে চাষীদেরকে উদ্ধুদ্ধকরণ করা হচ্ছে। আনারস উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার মূল্য বেশি থাকায় উপজেলার কৃষকদের মাঝে আনারস চাষ আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।