ফকিরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাটে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট। উপজেলায় এবার চাহিদার চেয়ে বেশি পশু উৎপাদন হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি দেখা গেছে চোখে পড়ার মত। হাটে বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশী বলে বিক্রেতারা জানান। ফকিরহাটে পশুরহাট কর্তৃপক্ষ জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পশু আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে হাটে বাড়তে থাকে পশুর সরবরাহ। হাটে বিভিন্ন জাতের গরুর পাশাপাশি ছাগলও বিক্রি হচ্ছে। গরু ক্রেতারা জানান, হাটে গরুর সরবরাহ ভালো। অপরদিকে বিক্রেতারা বলেন, অন্যন্য বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম একটু কম। গো-খাদ্যের দাম বাড়ার কারনে পশু পালনে খরচ বেড়েছে। ফলে হাটে যে দাম উঠছে, তাতে লোকসানের শঙ্কা করছেন তারা। ফকিরহাট অস্থায়ী কোরবানীর পশুরহাট পরিচালক শেখ মুশফিকুজ্জামান রিপন বলেন, পশুরহাটে অনেক গরু-ছাগল এসেছে। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি এখানে ভলেন্টিয়ার রয়েছে। হাটে পশু আমদানি খুব ভাল। জাল টাকা পরীক্ষা করার জন্য এখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে হাটে আসা গবাদি পশু স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, এবছর ১হাজার ৯২টি খামারে ৯ হাজার ২০টি গরু ও ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানির জন্য উপজেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৮হাজার ৯১৬টি। ফলে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু উৎপাদন হয়েছে। তিনি কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়াতে বিশেষ যত্ন নেওয়ার আহব্বান জানান। এছাড়া পশুরহাটে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ হতে গবাদি পশু স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে।