সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার তারানিপুর, ভবানীপুর, সৈদালীপুর ও মানিকপুর গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার প্রধান ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাদার নদীর উপর নির্মিত একটি জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ এই সাঁকো ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও আজও তা পূরণ হয়নি। তপন কুমার মণ্ডল নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলে অনেক সমস্যা। অসুস্থ রোগীকে রাতে হাসপাতালে নিতে পারি না। ভারী মালপত্র বহন করা তো দূরের কথা, শিশুরা ও বয়স্করা নির্বিঘ্নে চলাচল করতেও পারে না।
স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল কুমার দাস বলেন, প্রতিদিন কাজের জন্য বাজারে যেতে হয়। ভারী মালপত্র নিয়ে এই সাঁকো পার হওয়া খুব কঠিন। একটা ব্রিজ হলে কতটা সুবিধা হতো, তা বলে বোঝানো যাবে না।
গ্রামের বৃদ্ধা রেণু বেগম চোখের জল মুছে বলেন, আমার নাতিটা স্কুলে যেতে ভয় পায়। সাঁকোটা খুবই সরু আর দুর্বল। গত বছর একজন পড়ে গিয়েছিল, সেটা মনে করলেই ভয়ে শরীর কাঁপে।
স্থানীয় তরুণ রিফাত হোসেন জানান, রাতে কোনো রোগী অসুস্থ হলে হাসপাতাল নেওয়া প্রায় অসম্ভব। এমনও হয়েছে, সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ মারা গেছে। অথচ একটি ব্রিজ হলে এমন পরিস্থিতি হতো না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, ব্রিজের জন্য এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। ফলে স্থানীয়রা আতঙ্কে প্রতিদিন সাঁকো পারাপার করছেন।
ইউপি সদস্য আবু বক্কর বলেন, এই সাঁকোটি রাতের বেলায় অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে ওঠে। আলোর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাচ্চা ও বয়স্ক মানুষের চলাচল আরও ঝুঁকিপূর্ণ। সাঁকোটি যে কোনো সময় ভেঙে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, পাকা ব্রিজ না থাকায় এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জরুরি চিকিৎসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত এবং বাজারে মালপত্র আনা-নেওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে।
গ্রামের মানুষ এখন আর প্রতিশ্রুতি শুনতে চায় না। তাদের সবার একটাই দাবি, মাদার নদীর উপর একটি পাকা ব্রিজ চাই। এই সমস্যার সমাধান না হলে আমরা আর কতদিন এমন ঝুঁকির মধ্যে চলব?
সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছে শ্যামনগরের চার গ্রামের বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে এই প্রতিবেদকের কথা হয় আলোচিত শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মদ রনি খাতুন এর সাথে তিনি এই প্রতিপাদকে বলেন খবরটি শুনে মনে খুব কষ্ট লাগলো দেখে অতি দ্রুতই ওখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে ওই এলাকার মানুষের জীবন মান উন্নয়নের জন্য তাড়াতাড়ি চেষ্টা করব