ক্রীড়া প্রতিবেদক : জাতীয় দলের জার্সিতে ১৩৮তম গোলের পর চোখে জল। আবারও দেশের হয়ে ট্রফি হাতে। বয়স ৪০ পেরোলেও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আগুন এখনো নিভে যায়নি। উয়েফা নেশনস লিগের রোমাঞ্চকর ফাইনালে স্পেনকে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতল পর্তুগাল। আর সেই জয়ের মূল নায়ক ছিলেন এই পর্তুগিজ মহাতারকা।
মিউনিখে রোববারের ফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে ২-২ গোলের ড্রয়ের পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে স্পেনের আলভারো মোরাতা পেনাল্টি মিস এবং পর্তুগালের হয়ে শেষ স্পটকিক নেওয়া রুবেন নেভেসের নিখুঁত শট। গোল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে পর্তুগাল, আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি অধিনায়ক রোনালদো।
এই ম্যাচের আগেই টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে ফাইনালে এসেছিল স্পেন। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে অপরাজিত থাকা লুইস ডে লা ফুয়েন্তের দল সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে জাগিয়ে তোলে শিরোপা জয়ের বড় স্বপ্ন।
ফাইনালেও শুরুটা ছিল স্পেনের দাপটে। ম্যাচের ২১তম মিনিটেই দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক গোল করে দলকে এগিয়ে নেন মার্টিন সুবিমেন্দি। তবে পর্তুগাল দ্রুতই ম্যাচে ফিরে আসে। রোনালদোর চমৎকার পাসে গোল করেন ফুলব্যাক নুনো মেন্ডেস। ১-১ সমতায় ফেরে ম্যাচ।
এরপর স্পেনের মিডফিল্ডার পেদ্রির অসাধারণ এক পাস থেকে গোল করেন মিকেল ওয়ারজাবাল, যিনি গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরো ফাইনালের জয়সূচক গোল করেছিলেন। বিরতির আগে আবারও এগিয়ে যায় স্পেন।
এই ফাইনাল মূলত ছিল দুই প্রজন্মের দুই তারকার লড়াই, চল্লিশোর্ধ্ব রোনালদো বনাম স্পেনের ১৭ বছর বয়সী বিস্ময় প্রতিভা লামিন ইয়ামাল। তবে ফাইনালের বড় মঞ্চে ইয়ামাল খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেননি, বরং সুযোগ পেয়ে গোল করে পর্তুগালকে আবারও সমতায় ফেরান রোনালদো। ঘণ্টা পেরোনোর পর কাছ থেকে গোল করেন এই অভিজ্ঞ তারকা।
ম্যাচের শেষদিকে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন রোনালদো। অতিরিক্ত সময়েও জয়সূচক গোল পায়নি কেউ। ফলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে পর্তুগাল দারুণ নির্ভরতায় পরপর পাঁচটি পেনাল্টিই সফলভাবে জালে পাঠায় এবং তুলে নেয় তাদের দ্বিতীয় নেশনস লিগ শিরোপা।
রোববারের আগে দিনের প্রথম ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পের নেতৃত্বে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করে ফ্রান্স। স্বাগতিক জার্মানিকে ২-০ গোলে হারায় তারা। ম্যাচে এক গোল করেন এমবাপ্পে, অন্যটি করান মাইকেল ওলিসেকে দিয়ে। প্রথমার্ধে কিছুটা নিষ্প্রভ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে ওঠে ফ্রান্স।