সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির গভীরতা ও গুরুত্ব বিবেচনায় আগামী অর্থবছরে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ প্রস্তাব করেন।
বাজেট প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় নারীর অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, উপকূলীয় ইকোসিস্টেম মূল্যায়ন, জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনে গণমাধ্যমের সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে বায়ু, পানি ও মাটি দূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রশমন, স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা তার প্রস্তাবনায় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে যে দেশগুলো রয়েছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে বায়ু, পানি ও মাটি দূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রশমন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রভাব নিরূপণ, নারীর অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, উপকূলীয় ইকোসিস্টেম মূল্যায়ন, জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনে গণমাধ্যমের সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির গভীরতা ও গুরুত্ব বিবেচনায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষে আগামী অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা— যা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং এডিপি ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি বর্তমান সরকারের দৃষ্টিতে সংকোচনমূলক বাজেট।