বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি : খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গোপালখালী এলাকায় রানা রিসোর্টের সুইমিংপুলে গোসল করতে নেমে গতকাল এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মো: হাবিবুর রহমান (১৩) বেলা দুইটায় তার মা খালাসহ অন্যান্য নিকট আত্মীয়দের সাথে গোসল করতে নামে। এ সময় সুইমিংপুলে কৃত্তিম ঢেউয়ে সবার অজান্তে সে পানিতে ডুবে যায়। পরে সুইমিংপুলে একজনের পায়ে বাঁধলে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারের নিকট নেয়া হয়। তার পর বেলা তিনটার দিকে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে´ে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতবলে ঘোষণা করেন। হাবিবুর রহমান কোরআনে হাফেজ ছিলেন। জানা যায়, হাবিবুর রহমান, ঢাকা সাভার ইসলামিয়া ক্যাডেট মাদরাসা থেকে এ বছর হেফজ শেষ করেন। ঈদের ছুটিতে নানা বাড়ী খুলনা ৭ নং ঘাট এলাকায় বেড়াতে আসেন।
মো: হাবিবুর রহমানের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাউখালি থানার নোয়াপাড়া গুইটন গ্রামে বলে জানা গেছে। তার পিতার নাম মো: আবুল কালাম আজাদ। ঈদ উপলক্ষ্যে তারা খুলনায় নানা বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। ঈদের তিন দিন পর তারা রানা রিসোর্টে বেড়াতে যান। কৃত্তিম ঢেউয়ের সুইমিংপুলে নেমে গোসলের সময় রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের কোন লোক সেখানে ছিল না বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকা সত্বেও জীবন রক্ষার জন্য কোন ব্যবস্থা সেখানে নেই। তাছাড়া কর্তৃপক্ষ একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থাকায় রিসোর্টে আসা দর্শনার্থীদের সিকিউরিটির দিকে উদাসিন থাকার অভিযোগ রয়েছে। হাবিবুর রহমানের খালু জানান, সুইমিংপুল বাবদ আমাদের নিকট থেকে ২০০/- টাকা গ্রহণ করলেও কোন লাইফ জ্যাকেট ও কোন রিসকিউ টিমের ব্যবস্থা ছিলোনা। যার জন্য এরকম ঘটনা ঘটেছে।
ইতোপূর্বে রানা রিসোর্টের নানা অনিয়মের কারণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা পার্কটি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন করেন। পরবর্তীতে পুলিশের এএসপি সার্কেল ঘটনাস্থলে এসে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। পার্কটি বন্ধে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় সোচ্ছার প্রতিবাদ করে আসছেন।
বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা খায়রুল বাশার মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, শিশু হাবিবুর সাতার না জানায় পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না করায় লাশ ময়না তদন্তে পাঠানো সম্ভব হয়নি।