ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার পর প্রতিরক্ষা ব্যয় ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে পাকিস্তান। নতুন বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ২০ শতাংশেরও বেশি বাড়িয়েছে দেশটি।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। মূলত ভারতের সঙ্গে গত মাসে ভয়াবহ সংঘাতের পর পাকিস্তান প্রতিরক্ষাখাতকে গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করেছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তান সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে প্রতিরক্ষা, নাগরিক প্রশাসন, পেনশন, ভর্তুকি ও অনুদানের খাতে বড় অঙ্কের বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বৃদ্ধি।
শেহবাজ শরিফের সরকার জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রতিরক্ষা বাজেট ২০.২ শতাংশ বাড়িয়ে ২ হাজার ৫৫০ বিলিয়ন রুপি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই অর্থ পাকিস্তান সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালন, অস্ত্র-সরঞ্জাম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় হবে।
এছাড়া ফেডারেল মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সিভিল প্রশাসনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৯৭১ বিলিয়ন রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের অবসর ভাতা বা পেনশন দিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০৫৫ বিলিয়ন রুপি। বাজেট নথি অনুসারে, প্রতি বছর এই খরচ বাড়তে থাকায় সরকারের ওপর আর্থিক চাপ বাড়ছে।
বিভিন্ন খাতে, বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে, ১১৮৬ বিলিয়ন রুপি ভর্তুকি দেওয়া হবে। এই ভর্তুকি মূলত নিম্নআয়ের গ্রাহক, কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত টিউবওয়েল এবং শিল্প খাতের জন্য বরাদ্দ।
এছাড়া বাজেটে অনুদানের জন্য ১৯২৮ বিলিয়ন রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অনুদান বেনজির ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম (বিআইএসপি), আজাদ জম্মু ও কাশ্মির, গিলগিত-বালতিস্তান এবং খাইবার-পাখতুনখাওয়ার সদ্য একীভূত জেলার উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক প্রকল্পে ব্যবহার করা হবে।
দেশটির সরকার বলছে, এই বরাদ্দের লক্ষ্য হলো এসব অঞ্চলে উন্নয়ন কার্যক্রম, জনকল্যাণমূলক প্রকল্প এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।