ক্রীড়া প্রতিবেদক : ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ থেকে শুরু, এখনও চলছে। পাকিস্তানে দল পাঠাতে চায় না ভারত। বিসিসিআইয়ের এমন আবেদন হাইব্রিড মডেলে বসে এশিয়া কাপ। এ বছরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতেও পাকিস্তানে যায়নি ভারত। খেলেছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। তার আগে আইসিসির মধ্যস্থতায় চুক্তি হয়—তিন বছর পর্যন্ত দুদলের কেউ কারও দেশে গিয়ে খেলবে না।
অর্থাৎ, আইসিসি বা এসিসির কোনো টুর্নামেন্টে পাকিস্তান বা ভারত খেলবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। সেপ্টেম্বরে আসন্ন এশিয়া কাপে তেমন কিছুরই সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছিল। নিরপেক্ষ মাঠ হিসেবে শ্রীলংকাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তবে জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে সামা টিভি। পাকিস্তানের গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারত থেকেই সরে যেতে পারে টুর্নামেন্টটি।
যদিও এই তথ্যের নিশ্চয়তা এখনও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি), আইসিসি বা ভারত-পাকিস্তানের কোনো বোর্ড নিশ্চিত করেনি।
সূত্রের বরাতে সামা টিভি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ আয়োজন ভারতের হাতে থাকলেও সেটি নিজেদের দেশে করতে পারবে না। ভারত থেকে সেটি সরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো। তবে সূচি অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত সময়েই হতে যাচ্ছে এবারের আসর।
যদিও এই তথ্যের নিশ্চয়তা এখনও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি), আইসিসি বা ভারত-পাকিস্তানের কোনো বোর্ড নিশ্চিত করেনি। তবে পাকিস্তানের গণমাধ্যমটির সূত্র বলছে, খুব দ্রুতই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে যাচ্ছে এসিসি।
এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটি নিয়ে অবশ্য জলঘোলা কম হচ্ছে না। ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে উল্টো খবর। তারা প্রতিবেদনে বলেছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে আসরে না খেলার কথা জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। শুধু পুরুষদের এশিয়া কাপ নয়, নারীদের ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকেও নাম তুলে নেবে ভারত। তবে এমন হুমকিরও আনুষ্ঠানিক বার্তা আসেনি।
বলা চলে, পেন্ডুলামের মতো দুলছে এশিয়া কাপের ভাগ্য!