রূপসা (খুলনা) প্রতিনিধি : রূপসা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির শেখ মাদক (ইয়াবা) সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল। বৃহস্পতিবার(১২জুন) রাতে ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষে বসে হুমায়ুন কবির শেখ ও কয়েক ব্যক্তি ইয়াবা সেবন করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার সঙ্গে থাকা কোনো ব্যক্তি গোপনে এই ভিডিও ধারণ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরূদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ ছাড়াও রয়েছে সরকারি মাটিকাটা, জমি দখল করার নানা রকম অভিযোগ। দেখা যায় গত ১২ জুন শাহজালাল লস্কর নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে মাদক সেবনের ভিডিও প্রকাশ হয়। রাতে ফেসবুকে তার মাদক সেবনের এ ভিডিওটি ভাইরাল হলে বিষয়টি টপ অব দা টাউনে পরিণত হয়। ভিডিও প্রকাশের পর খুলনা জেলায় বিএনপির মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরূ হয়েছে।
এ ঘটনায় খুলনা জেলা ও রূপসা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে বলে জানা যায়। সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ তার বিরূদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়। গত ৫ আগস্টের পর থেকেই কবির বেপরোয়া হয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। সরকারি জমি থেকে মাটি কেটে লক্ষ লক্ষ টাকা বিক্রি করে মাদক সেবন করে আসছে তার লোকজন নিয়ে যার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। ঘাটভোগ ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের সাধারণ মানুষের অভিযোগ রয়েছে বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের আমলে পুঠিমারী তিনটি ঘের জবর দখল করে রেখেছিল আওয়ামী লীগের নেতারা। ৫ আগষ্ট এর পরে দেখা যায় জমির মূল মালিকানা দাবি করলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পক্ষ হয়ে কবীর শেখ জমি দখলদারিত্ব ছাড়তে অস্বীকার করে। বিষয়টি স্থানীয় থানা পর্যায়ে মালিকদের হাতে হস্তান্তর করতে বলা হলেও এই কবির শেখ জমি ছাড়তে নারাজ। স্থানীয় ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কবির শেখ ৫ তারিখের আগেও আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্ক রেখে সংসদ নির্বাচন করেছে যার প্রমাণ কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়। থানা পর্যায়ে নেতা হওয়ার কারণে এলাকায় সালীশ বিচার তাকে বাদ দিলে সাধারণ মানুষের হয়রানি হতে হয় বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খান জুলফিকার আলী বলেন, মাদকের সাথে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্বে তদন্ত করে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদকের সাথে জড়িত যারা তারা দলের নেতা হতে পারে না।