মাদারীপুর অফিস : মাদারীপুরের কালকিনিতে থানার ভেতর সালিশিতে এক যুবককে মাধররের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। পুলিশের সামনের এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও ৪দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম না থাকায় ভুক্তভোগীর পবিবারে বিরাজ করছে হতাশা। অভিযুক্তদের বিচারের চেয়ে সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
ভুক্তভোগী শওকত সরদার অভিযোগে জানান, কালকিনির দক্ষিন কৃষ্ণনগর এলাকার শওকত সরদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে প্রতিবেশি জামাল সরদার ও তার ভাই কামাল সরদারের সাথে। বিরোধপূর্ণ জমি নিজের দাবি করে পুরনো গাছ কাটতে যায় মৃত গনি সরদারের ছেলে শওকত সরদার। এতে বাধা দেয় জামাল ও কামাল দুইভাই। এ নিয়ে অভিযোগ গড়ায় থানায়। গত মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা ১২টার দিকে দুইপক্ষকে নিয়ে থানার ভেতর পুকুরপাড়ে সালিশিতে বসে পুলিশ। উভয়পক্ষের কথাবার্তা শুনে ও কাগজপত্র দেখে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলে উঠে যায় পুলিশ ও সালিশকারীরা। এরপর পরই শওকতের উপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। পুলিশের সামনেই ঘটে এই ঘটনা। যা মোবাইলে ধারণ করেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। পরে আহত শওকতকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এই ঘটনায় ওইদিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দেন শওকত। ঘটনার ৪দিনেও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি কোন আইনী ব্যবস্থা। এতে ভুক্তভোগীর পরিবারে বিরাজ করছে হতাশা।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত জামাল সরদার বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। থানা পুলিশ তদন্ত করে দোষ পেলে ব্যবস্থা নিবে। আমাদের পৈত্রিক জমির উপর লাগানো গাছ শওকত লোকজন নিয়ে কাটতে গেলে আমরা বাধা দেই। তার জমি হলে সে আইনগতভাবে পরিমাপ করে ভোগদখন করলে কোন বাধা নেই। সর্বশেষ বিআরএস জরীপে আমাদের জমি। এটা নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ নেই। তবে, শওকতের উপর থানার ভেতর কে বা কারা হামলা করেছে সেটা আমি জানি না।
এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন কালকিনি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল আমিন। তিনি বলেন, একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওসি স্যার ছুটিতে আছেন তিনি আসলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।