ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে, যুক্তরাষ্ট্রে পর্দা উঠছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫-এর। ফুটবলপ্রেমীদের অধীর আগ্রহে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে, বিশ্বের ৩২টি শীর্ষ ক্লাব এই মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টে লড়াইয়ে নামছে। এই আসরকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে ফিফা বিশেষ দলবদলের সুযোগ দিয়েছিল। যার মাধ্যমে ক্লাবগুলো তাদের স্বপ্নের দল গড়ে তুলেছে।
সেই ভিত্তিতে ১ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত চলা এই দলবদলের জানালায় ২১টি ক্লাব মোট ৫,৫৩২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা খরচ করে নতুন খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে। দলবদলের এই উৎসবে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর আধিপত্য ছিল অব্যাহত। পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি খরচের দিক থেকে শীর্ষে, ৪ জন খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়ে ব্যয় করেছে ১,৮০৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে ইংলিশ ক্লাব চেলসি, যারা ৩ খেলোয়াড় কিনতে খরচ করেছে ৯৯৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
ইউরোপের সফলতম ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ তৃতীয় স্থানে, ৯৭৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয় করে। এছাড়া, ইন্টার মিলান (৫২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা) এবং বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (৪৬৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা) যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে। তবে রিয়াল মাদ্রিদের কৌশল ছিল কিছুটা ব্যতিক্রমী। যেখানে অন্য ইউরোপীয় জায়ান্টরা বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে, সেখানে তারা তুলনামূলকভাবে সংযত ছিল, যা ফুটবল বিশ্লেষকদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
খেলোয়াড় সংখ্যার দিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইন সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। তারা ৮ জন নতুন খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়ে টুর্নামেন্টের জন্য শক্তিশালী দল গড়েছে। মিসরের আল আহলি ৬ জন খেলোয়াড় কিনে দ্বিতীয়, এবং ব্রাজিলের বোতাফোগো ৫ জন খেলোয়াড় নিয়ে তৃতীয় স্থানে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে সবার নজর থাকবে লিওনেল মেসির মিয়ামির দিকে, যারা মুখোমুখি হবে আল আহলির।
তবে এগারোটি ফুটবল ক্লাব এবারের ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন খেলোয়াড় দলে ভেড়ায়নি। এই ক্লাবগুলো হলো- পিএসজি (ফ্রান্স), জুভেন্টাস (ইতালি), বেনফিকা (পর্তুগাল), রিভার প্লেট (আর্জেন্টিনা), পালমেইরাস (ব্রাজিল), সিয়াটল সাউন্ডার্স (যুক্তরাষ্ট্র), লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (যুক্তরাষ্ট্র), মোন্তেররেই (মেক্সিকো), অকল্যান্ড সিটি (নিউজিল্যান্ড), মামেলোদি সানডাউনস (দক্ষিণ আফ্রিকা) এবং এস্পেরান্স তিউনিস (তিউনিসিয়া)। এই ক্লাবগুলো তাদের বিদ্যমান দলের উপর ভরসা রেখে নতুন সাইনিং ছাড়াই মৌসুমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।।