ভেড়ামারা প্রতিনিধি : ঈদুল আযহার দীর্ঘ ছুটিতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অধীনস্থ ৫টি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ সেবা প্রদান করে আসছে। গতকাল মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ সেবা চলছে। ভেড়ামারা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অতি: দায়িত্ব) ডা: এম এম আসিফ সিদ্দিকী বলেন, ঈদের বন্ধের ভিতরে ভেড়ামারা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অধীনস্থ ৫টি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র গর্ভবতী মা’কে গর্ভকালীন সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়। বাহাদুরপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, জুনিয়াদহ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, মোকারিমপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেদ্রে. ধরমপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সাধারন রোগী, শিশু, কিশোর কিশোরী, গর্ভবর্তীদের কে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিভিত্তিক সেবা প্রদান করা হয়। ভেড়ামারা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আযহার দীর্ঘ ছুটিকালীন সময়ে ভেড়ামারা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অধীনস্থ ৫টি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সমূহে ২৪ ঘন্টা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান কার্যক্রম চলমান ছিলো। দেশের বিভিন্ন সরকারি, আর্থিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ ছিলো। দীর্ঘ ছুটির কারণে গ্রামাঞ্চলে যাতে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উপর এর কোন প্রভাব পড়তে না পারে এজন্য পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মহাপরিচালক এবং বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষ থেকে ছুটি কালীন সময়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ সেবা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীগণ নিরলসভাবে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন সেবা প্রদান করে। সেবাগুলোর এর মধ্যে এএনসি, পিএনসি, এনভিডি, আইইউডি, ইনজেকশন, কনডম, সুখী সেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও পরিবার পরিকল্পনার স্বাভাবিক প্রসব, সাধারণ রোগী সেবা, কিশোর-কিশোরী সেবা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা উল্লেখযোগ্য। স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোকেয়া বেগম বলেন, তিনি সন্তানসম্ভাবা। ভেবেছিলাম ছুটির ভিতর হয়তো সেবা পাব না। এখন দেখছি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ খোলা। স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে তিনি খুশি। ছুটির ভিতর স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।