ডেস্ক রিপোর্ট : খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার (১৫ জুন) খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের দায়ের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।কারাগারে নেওয়ার আগে উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা হাসান আল মামুনকে লক্ষ্য করে পচা ডিম এরং আম নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময়ে তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। পরে বিএনপি নেতাদেরকে শান্ত রাখার জন্য সেনা ও নৌ বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রবিবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে চলতি বছরের ২৩ মার্চ খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তিন দফা সমন জারির পরেও আদালতে হাজির না হওয়ায় ২৩ মার্চ খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি’র কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল আলমকে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে হাসান আল মামুন। এতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল আলম (সিআর নং-১০৮৯/২৪)। ওই দিন আদালত মামলাটি গ্রহণ করে নগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপ-কমিশনারকে তদন্ত পূর্বক ২৪ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা শাখার এডিসি জালাল উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।