যশোর অফিস : যশোরে চৌগাছার উপজেলার পল্লীতে প্রতিবেশী দাদা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার শিশুটির সার্বিক চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার সকালে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন সহায়তা সেলের সমন্বয়ক ডা. রফিকুল ইসলাম যশোরে শিশুটিকে দেখতে এসে এমন কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তারেক রহমানের নির্দেশে তারা সারাদেশে নির্যাতিত নারী ও শিশুদের চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা দিতে কাজ করছেন।
গত ১১ জুন বিকেলে শিশুটিকে ধরে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা চালায় তার প্রতিবেশী দাদা মিজানুর রহমান। মারাত্মক রক্তক্ষরণ অবস্থায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঈদের ছুটি থাকা স্বত্বেও যশোরের বিএনপি নেতাদের সহায়তায় ওই রাতেই তার অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়। বর্তমানে শিশুটি যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তার চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নির্দেশে আজ সোমবার সকালে নির্যাতিত শিশুটিকে দেখতে আসেন এবং তার পাশে থাকার ঘোষণা দেন। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শিশুটির মায়ের হাতে আর্থিক সহায়তার খামও তুলে দেন নেতৃবৃন্দ৷
এসময় নির্যাতিত শিশুটির চিকিৎসার খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসায় দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স এবং আইনি সহায়তায় নিয়োজিত আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,‘দেশে যেকোনো জায়গায়, যেকোন ক্রাইসিসে বিএনপির নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। গণমাধ্যমে যখন শিশুটি ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর পায়, তখনই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন শিশুটির চিকিৎসা নিশ্চিতের। আমরা শিশুটির চিকিৎসা ও আইননী সহায়তা যাতে নিশ্চিত হয়, সেই লক্ষেই এখানে এসেছি। শিশুটির সঙ্গে কথা বলেছি, তার পরিবার, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। ভবিষ্যতে শিশুটির যে কোন সহায়তায় বিএনপির নেতাকর্মীরা পাশে থাকবে বলেও আশ্বাস্ত করেছি তাদের।
তিনি বলেন, দেশের এখন এক লাখের বেশি ধর্ষণ নারী নির্যাতনের মামলা পেন্ডিং রয়েছে। এসব মামলা দ্রুত যাতে নিষ্পত্তির হয়, সেই কারণে বিএনপি আইননি সেল ও চিকিৎসা সেল গঠন করে কাজ করছে।’
এসময় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘চৌগাছায় যখন শিশুটি পাশবিক নির্যাতনের ঘটনার শিকার হয়, তখনই কিন্তু শিশুটিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চিকিৎসকদের আন্তরিকতায় শিশুটির অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। আমাদের নেতা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শিশুটির চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমাদের চিকিৎসকেরা কাজ করছে। আইননি সহায়তার জন্য আমাদের যে লিগ্যাল এইড টিম রয়েছে সেই সদস্যরাও আইনি সহায়তা দিচ্ছে। শিশুটির পাশে বিএনপির নেতাকর্মীরা সব সময় থাকবে।’
সার্বিক সহযোগিতা পেয়ে শিশুটির মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি তার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি ধর্ষক মিজানুর রহমানের ফাঁসির দাবি জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা শুরু থেকে আমার সাথে আছে। গভীর রাতেও তারা হাসপাতালে ছিলো। তাদের কারণে আমার মেয়েটা এখনো নিঃশ্বাস নিচ্ছে। আমি চাই ধর্ষকের শাস্তি পেতেও তারা সহযোগিতা করুক।
এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খানসহ জেলা বিএনপি, চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব- এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।