ডেস্ক রিপোর্ট : ইসরয়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে আজ বৃহস্পতিবার ভোরবেলা থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে ইরান। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভোর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষবা সংস্থা ম্যাজেন ডেভিড অ্যাডাম জানিয়েছে, ইরানের সাম্প্রতিক হামলায় আহত ৬০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ৪২ জন ‘সামান্য আহত’ এবং ১৮ জন বোমা হামলা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে আঘাত পেয়েছেন।
এদিকে, বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে—গত কয়েকদিন ইসরায়েলে ইরানের হামলা খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। কিন্তু এবার তারা ইসরায়েলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করতে পেরেছে। বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে বিভিন্ন স্থানে আঘাত হেনেছে।
তবে সম্প্রতি ইরানের হামলার মাত্রা অনেকটাই কমে এসেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের পাল্টা বিমান হামলা কার্যকর হয়েছে। এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ইসরায়েল সরকার যুদ্ধের কারণে আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে আজ সকালে ইরানের নতুন করে চালানো হামলা দেখিয়ে দিয়েছে, তারা এখনো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে আঘাত হানার সক্ষমতা রাখে। হামলার লক্ষ্যস্থলগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বির শেবার সোরোকা মেডিকেল সেন্টার, তেল আবিবের আশপাশে অবস্থিত হোলোন শহর (যেখানে দুটি ভবনের মাঝখানে ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে), এবং রামাত গান।
ইরান বলেছে, বির শেবায় তারা একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে, যা সোরোকা হাসপাতালের কাছাকাছি। তবে ইসরায়েলের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী শ্যারেন হ্যাসকেল অভিযোগ করেছেন, ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে সোরোকা হাসপাতালকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। অন্য যেসব শহরে হামলা হয়েছে, সেখানে ইরানের লক্ষ্যবস্তু কী ছিল—তা এখনও পরিষ্কার নয়।
গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা, জ্বালানি অবকাঠামো, বিমানবন্দর, সরকারি ভবন এবং আবাসিক এলাকাগুলোতে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। তারই প্রতিক্রিয়ায় ইরান এই হামলা চালাচ্ছে। ইরান বলেছে, এটি একটি আগ্রাসনের যুদ্ধ এবং তাদের আত্মরক্ষার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।