দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের হাট-বাজারগুলোতে নদীর দেশী প্রজাতির নানা ধরনের স্বাদের মাছ এখন বিলুপ্ত হতে চলছে। উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে নির্বিয্নে ছোট-বড় মাছ ধরার কারনে দেশী প্রজাতির নদীর মাছ কমে যাচ্ছে। নদীর মাছ হিসাবে পোয়া,পাঙ্গাশ,রামছোড়,চাপিলা,বেলে,চিংড়িসহ অন্যান্য মাছ তেমন আর জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না। বর্ষা মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ ডিম ছাড়ার আগেই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। ফলে মাছের বংশ বিস্তার হচ্ছে না। এক শ্রেনীর অসাধু জেলেরা মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। যার কারনে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশী প্রজাতির মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার মাছের ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদী এখন মাছ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। উল্লেখিত নদীতে পোয়া, পাঙ্গাশ, রামছোড়, চাপিলা, বেলে, চিংড়িসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হবার পথে রয়েছে। বিশেষ করে নদীর মাছ হিসাবে পরিচিত পোয়া,ইলিশ,আইড়,রিটা যার দেখা এখন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার । অত্র অঞ্চলের সোনার হরিণ হিসাবে পরিচিত ইলিশ মাছ যেন এখন হয়ে গেছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের অবাধ ব্যবহার,বর্ষাকালে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছসহ পোনা নিধন এবং মাছের বিচরন ক্ষেত্র কমে যাওয়ার কারনে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্পদ হিসাবে পরিচিত মৎস্য আজ বিলুপ্ত হতে চলছে। এছাড়া মাছের প্রজনন মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন সময় অবাধে ছোট-বড় মাছ ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় নদীর স্বাদের মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।