ফকিরহাট প্রতিনিধি : দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বানিয়াখালীর কালিগঙ্গা নদীতে স্থাপিত মৎস্য অভয়াশ্রম পরিদর্শন করেন মৎস্য অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। বুধবার বিকেলে তিনি মৎস্য অভয়াশ্রমসহ বিভিন্ন বিল নার্সারী ও প্রদশর্নী খামার পরিদর্শন করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: খালিদুজ্জামান, উপ-প্রকল্প পরিচালক খাইরুল ইসলাম, বাগেরহাট সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আনসারী, ফকিরহাট সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ প্রমূখ। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ জানান, মৎস্য অভয়াশ্রম হলো মাছের নিরাপদ আবাসস্থল ও প্রজনন ক্ষেত্র, যেখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এটি মাছের প্রজাতি সংরক্ষণ এবং তাদের বংশবৃদ্ধি করার জন্য গুরুত্বপূূর্ণ। ফকিরহাট উপজেলার বানিয়াখালী কালীগঙ্গা নদীতে এক হাজার ফুট এলাকা জুড়ে সদস্য স্থাপন করা হয়েছে এই মৎস্য অভয়াশ্রম। প্রকল্প পরিচালক মো: খালিদুজ্জামান বলেন, মৎস্য অভয়াশ্রম হল কোনো জলাশয় বা এর নির্দিষ্ট অংশ, যেমন-হাওর, বিল, বা নদীর কোনো অংশ, যেখানে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বা সারা বছর মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এটি মাছের নিরাপদ আশ্রয় এবং প্রজননের জন্য একটি সংরক্ষিত এলাকা। মৎস্য অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম মৎস্য অভয়াশ্রম, নার্সারী ও প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন দেশীয় প্রজাতির মাছ এখন বিলুপ্তির পথে, খাল-বিল, নদী-নালা, ও বিভিন্ন জলাশয়ে অবৈধভাবে জাল দিয়ে মাছ ধরার কারনে এসব দেশীয় মাছ বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে। যে কারনে এই অভয়াশ্রম করা হয়েছে। এখানে নিরাপদে মাছের বংশ বিস্তার করতে পারবে। এতে দেশীয় মাছের ঘাটতি কমে যাবে।