1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :

ডুমুরিয়ায় যানবাহনের হর্ণের বিকট শব্দে নাকাল ডুমুরিয়াবাসী

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : যেমন- ‘সুখবর, সুখবর, সুখবর। ডুমুরিয়া জন্য সুখবর। মাথাব্যথা, কোমরব্যথা, কাশি, হার্ট ও যৌন বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার সাহেব প্রতি শুক্রবার ও শনিবার নিয়মিত রোগী দেখবেন।
আগামীকাল মাংস বাজারে একটি বিরাট মহিষ জবাই করা হবে’। ‘ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবকদের জন্য সুখবর। অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারা কোচিং করা হয়। যোগাযোগ করুন’। ‘মূল্যহ্রাস, মূল্যহ্রাস, মূল্যহ্রাস। বিরাট মূল্যহ্রাস। এই সুযোগ আগামী অমুক তারিখ পর্যন্ত।’ ওরসে ওয়াজ মাহফিল ও পুজা পার্বনের মাইকের যন্ত্রণার পাশাপাশি শহরের অটোরিকশাসহ যানবাহনের বিকট হর্ণের শব্দে নাকাল খুলনা জেলা সদরসহ অপরাপর উপজেলাবাসী। এসব শব্দ দূষণ বিশেষ করে শহরের কলেজ রোড কেন্দ্রিক অগনিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য চরম হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন সুস্থ বিবেক সম্পন্ন চিন্তাশীল সচেতন নাগরিকগণ। ছোট-খাট যেকোনো ঘটনায় এই ধরণের মাইকিং খুলনা জেলাসদর ও উপজেলা শহরের নিত্যনৈমিত্তিক যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি এখন চলে গেছে জেলা ও শহরবাসীর কাছে অসহনীয় পর্যায়ে। রিকশায় ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ব্যাটারিচালিত অটোরিকসায় ১টি বা ২টি মাইক বেঁধে উচ্চ শব্দে দিনে-রাতে চলে এ ধরনের প্রচারণা। দীর্ঘ সময় এভাবে মাইকিং করতে কোন কোন সময় দরকার পড়ে না ঘোষকের। ঘোষণাটি রেকর্ড করে মোবাইলের মেমোরি কার্ডে নিয়ে রিকশায় অথবা ইজিবাইকে মাইক বেঁধে চলতে থাকে দিনভর বিরতিহীন ঘোষণা।
এছাড়াও রয়েছে যেখানে সেখানে রাস্তার ওপর ইটভাঙা মেশিন ও কাঠের আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রের বিকট শব্দ। রয়েছে যত্রতত্র গান লোডের দোকানের উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্সের বিকট শব্দ বা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গাড়ির হর্ণ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচারণা। হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ যেসব স্থানে মাইক বন্ধ রাখার নিয়ম রয়েছে। তাও জানেনা কেউ।
জানা গেছে, ২০০৬ সালে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। সেখানে নীরব এলাকায় দিনে ৫০ রাতে ৪০ আবাসিক এলাকায় দিনে ৫৫ রাতে ৪৫ মিশ্র এলাকায় দিনে ৬০ রাতে ৫০ বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৭০ রাতে ৬০ শিল্প এলাকায় দিনে ৭৫ রাতে ৭০ ডেসিবল মাত্রায় মাইকে প্রচার করা যাবে। শব্দের মাত্রা অতিক্রম করা যন্ত্রপাতি যেমন-মাইক, লাউড স্পিকার, এমপ্লিফায়ার, মেগাফোন বা শব্দ বর্ধনে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্র বা অন্য যান্ত্রিক কৌশল ব্যবহারে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এ বিধিমালা প্রাধান্য পাবে। শব্দের মাত্রা
অতিক্রমকারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নীরব এলাকা ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় ব্যবহারের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। ৩দিন আগে দরখাস্ত দিতে হবে। বিশেষ জরুরি ক্ষেত্রে আয়োজনের ১ দিন আগে দরখাস্ত করা যাবে। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অনুমতি দেবেন। কারণ উল্লেখ করে দরখাস্ত নামঞ্জুর করবেন।

এ ক্ষেত্রে সহনীয় পর্যায়ের শব্দের মাত্রা অতিক্রমকারী যন্ত্রপাতি দৈনিক ৫ ঘণ্টার বেশি ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন না। সময়সীমা রাত ১০টার উপরে নয়। নির্মাণ কাজে আবাসিক এলাকার শেষ সীমানা থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে ইট বা পাথর ভাঙা মেশিন ব্যবহার নিষিদ্ধ। নির্দিষ্ট মাত্রার অতিরিক্ত শব্দ হলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে টেলিফোন অথবা মৌখিক অথবা লিখিতভাবে জানানো যাবে। সেক্ষেত্রে শব্দদূষণ মাত্রা অতিক্রমকারীকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মৌখিকভাবে অথবা লিখিত নির্দেশ দেবেন। নির্দেশ লজ্জনকারীর যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি আটক করবেন। অপরাধিকে অনধিক ১ মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড
এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড, অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত দিতে পারবেন। গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা সদরে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। জেলা সদরে নিয়ন্ত্রণ করবেন জেলা প্রশাসক অথবা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ। এছাড়া অন্যান্য এলাকায় ডিসি অথবা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের ঔষধ ব্যবসায়ী অক্ষয় দাস জানান, প্রতিদিন ২/৪ টি গাড়ি দোকানের সামনে থেমে বিকট শব্দে মাইকে বিভিন্ন ঘোষণা দেয়। প্রতিবাদ করেও কোন সমাধান পাচ্ছিনা। ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও শব্দ নিয়ন্ত্রণকারী দপ্তরের কোনো তৎপরতা নেই। প্রতিদিন মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছি। এরা স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, সরকারি অফিস-আদালত কিছুই মানে না। এমন নির্যাতন থেকে শেরপুরবাসীকে মুক্ত করতে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্ত বলেন, কাজল মল্লিক বলেন অতিরিক্ত শব্দদূষণ শিশুসহ সব বয়সের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। শব্দে মস্তিষ্কে বিরক্তির কারণ ঘটে। ফলে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি হয়। কর্মক্ষমতা কমে যায়। মেজাজ খিটখিটে হয়। বিশ্লেষণ ক্ষমতা কমে। কাজে মন বসে না। মানুষ যখন বার্ধক্যে পৌঁছে। তখন শব্দদূষণে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, শব্দদূষণ একটি বড় সমস্যা। তা নিরসনে ব্যাপারে আইনগতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট