দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জেলেরা জাল ফেলে রূপালী ইলিশ পাচ্ছে না। নদীতে জাল ফেলে ইলিশ না পেয়ে হতাশ হয়ে নৌকা নিয়ে তীরে ফিরে আসছে। ফলে শত শত জেলে ইলিশ শিকার করতে না পেয়ে চিন্তায় পড়েছে।
উপজেলার নদী তীরবর্তী জেলে পল্লীর জেলেরা জানায়,দিন রাত তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকারে নেমে তেমন আশানরূপ মাছ পাচ্ছে না। উপজেলার জেলে পরিবারের আশা ছিল এই বছর তুলনামুলক বেশি ইলিশ তাদের জালে ধরা পরবে। আর জালে মাছ ধরা পড়লে ঋনের কিস্তি ও মহাজনের দেনা পরিশোধ করে সংসারে পূনরায় স¦চ্ছলতা ফিরবে। জেলেরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। অথচ জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ ধরা পড়ছে না।
উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর উত্তর সীমানা থেকে শুরু করে দক্ষিন সীমানা পর্যন্ত প্রায় ১৯০ কিলোমিটার এলাকা ইলিশের অভয়াশ্রম হিসাবে সংরক্ষিত। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের শাহ আলম খাঁ জানান,অনেক আগেই দাদন ও ঋণের টাকা খরচ করেছি। মাছ ধরার জন্য জাল নিয়ে নদীতে যাই। মনে হয় এবার নদীতে মাছ ধরতে পারবো। জালে মাছ ধরা পরলে সকল দেনা দিয়া দিমু।গোলখালী গ্রামের একাধিক জেলে জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা সময়ে তারা নদীতে মাছ আহরণ করেননি। সরকার যেটুকু সহযোগিতা করেছে তা দিয়ে কোন মতে পরিবার চালাইছি। আর নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ ধরতে নামছি অথচ আশানরূপ মাছ নেই। এদিকে উপকূলীয় উপজেলা দশমিনা প্রধান দুইটি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ধরা পড়ছে না ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ। জেলেরা নদীতে জাল ফেলার পর জালে ইলিশ ধরা না পড়ায় তাদের চোখে আনন্দের পরিবর্তে হতাশা ফুটে উঠেছে।
উপজেলার প্রধান নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর মোহনায় প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। অবরোধের পড়ে ভরা মৌসুমে জেলেরা নদীতে জাল ফেলার সাথে সাথেই ছোট-বড় রূপালী ইলিশ ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে না। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলেরা দল বেঁধে নৌকা নিয়ে সাগরে জাল নিয়ে ছুটছে। মৌসুমের শুরুতে নদীতে মাছ না থাকায় পেশাদার জেলেদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। উপজেলায় প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ’র মোহনা ও এর আশে পাশের এলাকায় এখন আর ইলিশের সমারহ নেই। জেলেরা মাছ ধরার জন্য নৌকা নিয়ে ছুটে চলছে। উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকা বাঁশবাড়িয়া, হাজীরহাট,কাটাখালী, গোলখালী, আরজবেগী, আউলিয়াপুর ও রণগোপালদীতে ইলিশের সরবরাহ চোখে পড়ছে না। ইলিশের আড়তদাররা মাছের জন্য অপেক্ষা করছে। এদিকে জেলেরা কাংখিত ইলিশ না মাছ পেয়ে দাদনের টাকা পরিশোধ করতে পারছে না। জেলেদের সংসারে তেমন আনন্দ নেই।