ডেস্ক রিপোর্ট : নগরীতে সাবেক যুব দল নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লা হত্যা মামলায় কাজী কাজী রায়হান ইসলাম (২৫) নামে আরেকজন গ্রেফতার হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার দিকে থানা পুলিশের একটি টিম সাতক্ষীরা জেলার তালা মহিলা কলেজের পাশর্^বর্তী একটি বাসা হতে তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে সজল এবং আলাউদ্দিন নামে দুই জন গ্রেফতার হয়।
পুলিশ জানায়, গত রোববার আসামি রায়হান সপরিবারে ওই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। সে পশ্চিম মহেশ^রপাশা এলাকার বাসিন্দা জনৈক কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে। গোপন সংবাদ ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। রাত ৮ টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আসামিকে বহনকারী গাড়ীটি দৌলতপুর থানার উদ্দেশ্যে পথে ছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মীর আতাহার আলী বলেন, সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া ঘাতক দলের সদস্য সন্দেহে রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে তার ভূমিকা সম্পর্কে তথ্য মিলেছে।
পুলিশ জানায়, এর আগে গ্রেফতার হওয়া আসামি মোঃ সজল (২৭) এবং মোঃ আলাউদ্দিন (২১) এর বিরুদ্ধে আততায়ীদের কাছে নিহত মাহবুবুরের অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে দুই দিনের রিমাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে অভিযুক্ত সজল হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
গত শুক্রবার দুপুর দেড় টার দিকে যুবদলের দৌলতপুর থানা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান মোল্লা (৪২) কে তার বাড়ীর সামনে ঘাতকেরা নৃশংসভাবে খুন করে। একটি মোটর সাইকেলে তিন আততায়ী এসেই তার ওপর এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি যখন লুটিয়ে পড়েন, খুনিরা তখন তার দুই পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভিকটিমের পিতা আব্দুল করিম মোল্লা শনিবার দুপুরে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।