ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গোপালগঞ্জে হামলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে আরো ১০টা জেলায় হামলা চালানো হবে, কিন্তু আমাদের দমন করা যাবে না।
আজ শুক্রবার (১৮ জুয়াই) দুপুরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রার সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মুজিববাদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ আমরা শুরু করেছি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে।
ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থা বিলুপ্তের যে লড়াই আমরা শুরু করেছি সেই লড়াই শেষ না করে আমরা থামব না। ফ্যাসিবাদ ও মুজিববাদের বিরুদ্ধে আরো একটি লড়াই আসছে, আমরা তা মোকাবেলা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি। পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ফ্যাসিবাদ ও মুজিববাদের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘ভবিষ্যতের নির্বাচনে প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারে, তা আমরা নিশ্চিত করব।’
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের পরবর্তী বাংলাদেশ নেতা-নির্ভর হবে না। আমাদের পরবর্তী বাংলাদেশ হবে একটি নীতি-নির্ভর বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নেতা ভুল করতে পারে না এটা ঠিক নয়, কারণ কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দেশের ভেতরে এবং দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী ৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র আদায়ের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘এই দেশ এখনো পুরোপুরি স্বাধীন হয়নি। ফ্যাসিবাদ শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দল-মত-নির্বিশেষে তাদের প্রতিহত করতে হবে। ফ্যাসিবাদ নির্মূল না হলে প্রকৃত স্বাধীনতা আসবে না। শুধু গোপালগঞ্জে নয়, যেখানেই ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসীরা থাকবে, সেখানেই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। হাসিনার বিচার করতে হবে। তার মৃত্যুদণ্ড দেখে মরতে চাই।’
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা সহ কেন্দ্রীয় ও মুন্সীগঞ্জ জেলার নেতৃবৃন্দ।
এর আগে জেলা ও উপজেলার এনসিপির নেতাকর্মীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে সুপার মার্কেট এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে এসে উপস্থিত হন। পথসভায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।