1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

বীর মুগ্ধকে স্মরণ করলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

খুবি প্রতিনিধি: এক জুলাই থেকে আর এক জুলাই। মাঝে চলে গেছে একটি বছর। ক্যালেন্ডারের পাতায় ১৮ ফিরে এসেছে। ২০২৪ (চব্বিশের) জুলাইয়ের এই দিনে দেশ হারিয়েছিল মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধকে। সেই মুগ্ধ, যে ছিল চব্বিশের উত্তাল জুলাইয়ের উত্তপ্ত রাজপথে লড়াইরত যোদ্ধাদের তৃষ্ণা নিবারণের ফেরিওয়ালা।

পানি ও বিস্কুট বিতরণ শেষে পড়ন্ত বিকেলে ক্লান্ত-শ্রান্ত শরীর নিয়ে একটু বিশ্রামের প্রত্যাশায় বসেছিল ফুটপাথে। আকস্মিক ঘাতকের এক বুলেট এসে কপালের ঠিক মাঝখানে বিদ্ধ হয়ে মাথার পেছনের একটি অংশ ছিড়ে নিয়ে বের হয়ে যায়। মুগ্ধের জীবন দান ফ্যাসিস্ট হাসিনা পতন আন্দোলনে যোগ করে এক ভিন্ন মাত্রা।

১৬ জুলাই রংপুরের আবু সাঈদ, চট্টগ্রামের ওয়াসীম নিহত হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সর্বসাধারণকে যুক্ত করার পথ খুলে দিয়েছিল। আর ১৮ জুলাই মুগ্ধর নিহত হওয়ার ঘটনা সেই আন্দোলনকে সর্বসাধারণের আন্দোলনে পরিণত করেছিল।

চব্বিশের আন্দোলনের উজ্জ্বলতম বীর মীর মুগ্ধের প্রথম শাহাদাত বার্ষিকীতে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনভর পালিত হয়েছে নানা কর্মসূচি। দিনটি শুরু হয় সকালে ‘অদম্য বাংলা’ ভাস্কর্যের চোখে কালো কাপড় বেঁধে, আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিচারহীনতার প্রতিবাদ যা দুপুরে করা হয়। বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। দোয়া শেষে তবারুক বিতরণ করা হয় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে।

জুমার নামাজের পর সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি এতিমখানায় শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর অ্যাকাডেমিক ভবনে মুগ্ধের নামে ‘মুগ্ধর স্মৃতি ও পানি কর্নার’ উদ্বোধন করা হয়। শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ ঠান্ডা, গরম ও সাধারণ পানি পান সুবিধার্থে এই কর্নার স্থাপন করেছে গণিত ডিসিপ্লিন।

এরপর বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াকত আলী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় শহীদ মীর মুগ্ধ স্মরণসভা। সেখানে বক্তারা তার সাহস, ত্যাগ ও আন্দোলনে ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, মুগ্ধ কেবল একজন শহীদ নয়, গণতন্ত্র ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের এক জ্বলন্ত প্রতীক। একই বিকেলে শিক্ষার্থীদের জন্য রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়, যাতে অনেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। দিনব্যাপী আয়োজনে পর সন্ধ্যায় আলোর প্রতীক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে মীর মুগ্ধসহ চব্বিশের সকল শহীদদের স্মরণ করা হয়।

এছাড়া শহীদ মুগ্ধর স্মরণে আগামীকাল (শনিবার) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রেজাউল করিম বলেন, “আমরা গর্বিত যে মুগ্ধ এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩ সালে গণিতে অনার্স সম্পন্ন করেছিল। আমরা শোকাহত, কারণ তার অনেক কিছুই ছিল এই দেশকে দেবার। মুগ্ধ যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, তা প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব আমাদের। পরাজিত অপশক্তি যেন আর দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে না পারে, সে জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

মীর মুগ্ধের আত্মত্যাগ স্মরণে দিনভর কর্মসূচিতে যে আবেগ, সম্মান আর প্রত্যয় প্রকাশ পেয়েছে, তা প্রমাণ করে তিনি কেবল অতীতের এক শহীদ নন, তিনি বর্তমানের চেতনা ও ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট