ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় মহাসমাবেশে যাওয়ার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ছয়জন। তাঁদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) ভোরে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার সামনে এক্সপ্রেসওয়ের শুরুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি মাওলানা আবু সাঈদ (৫২)। তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একই উপজেলার বানিশান্তা গ্রামের জামায়াত কর্মী আমানত শেখ (৫৫)।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় মহাসমাবেশে খুলনা থেকে ২৬০টি বাসে যোগ দিচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মডেল মসজিদের সামনে যাত্রাবিরতি নিয়ে চা পান করছিলেন তাঁরা।
এ সময় গাড়ির ব্যানারটি খুলে যাওয়ায় সেটি ঠিক করতে যান দাকোপ উপজেলা আমির মাওলানা আবু সাঈদ ও অন্যরা। এ সময় পেছন দিক থেকে এসে রয়্যাল পরিবহনের একটি বাস সজোরে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে মাওলানা আবু সাঈদ নিহত হন। দুর্ঘটনার পর বাসটি দ্রুত পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত মো. আমানত শেখ, মো. আনিসুর রহমান ও মো. ইকবাল হোসেনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমানত শেখ।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘শনিবার ভোররাতের দিকে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। এ ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে আরেকজনের মৃত্যু হয়। একজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’